তোমরা তো হাইব্রিড আ.লীগ আমি শহরের মাস্তান বলে সরিয়ে দিলেন বঙ্গবন্ধুসহ প্রধানমন্ত্রীর ছবি
নিজস্ব প্রতিনিধি : নিজেকে শহরের মাস্তান ঘোষণা দিয়ে সাজেক্রীসের সাধারণ সম্পাদক অফিস কক্ষে বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি টানতে না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অপর পক্ষ। ক্ষোভ প্রকাশ করা নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ’র অভিযোগ এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হলে এক পর্যায়ে তাদেরকে গ্রামের মাস্তান আখ্যা ভর্ৎসনাও করা হয়। গতকাল সোমবার বেলা ১২ টার দিকে সাতক্ষীরা ক্রীড়া সংস্থার অফিসরুমে এ ঘটনা ঘটে।
নবনির্বাচিত কমিটির সদস্য আব্দুল মান্নান, ফারহা দিবা খান সাথী, প্রিন্স জানান, জেলা ক্লাব ঐক্য পরিষদের প্যানেলে নবনির্বাচিত ১৭ জনের মধ্যে ১৪ জন গতকাল সোমবার সকাল ১১ টার দিকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে তারা স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদের প্যানেলে নির্বাচিতদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য সাজেক্রীসের অফিস রুমে আসেন। একে অপরের সাথে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর বেলা ১২ টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন অফিস রুমের জন্য বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন ছবি উপহার দেন। পরে তিনি পুরাতন ছবি সরিয়ে নতুন ছবি টানানোর প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাব উপস্থিত সবাই মেনে নিয়েও বাঁধ সাধেন সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খান বদু। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সরাও সরাও বলে টেবিলের অপর কোনে ঠেলে দিয়ে রাগান্বিত হয়ে বলেন, তোমরা তো হাইব্রিড আ.লীগ। এসব হাইব্রিড নেতাদের আমরা চিনি। এসময় ক্লাব ঐক্য পরিষদের নির্বাচিত সদস্য জেলা যুবলীগের সাবেক আহŸায়ক আব্দুল মান্নান প্রতিবাদ জানালে সাধারণ সম্পাদক উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমি শহরের মাস্তান, তোমরা তো গ্রামের মাস্তান। আমাকে শেখাতে আসবা না। কি করতে হবে তা আমার জানা আছে। এমন সব কথা বলে ক্লাব ঐক্য পরিষদ প্যানেলের নেতৃবৃন্দকে বাক্যবানে আহত করেন।
ক্ষুদ্ধ নেতৃবৃন্দরা আরো জানান, সাজেক্রীসের নব নির্বাচিত সম্পাদকের আক্রামাত্বক এসব কথা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালকে ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে অবগত করেন।
সন্ধ্যায় ক্লাব ঐক্য পরিষদের সকল কর্মকর্তাসহ সদস্যরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনছুর আহম্মেদকেও জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ক্লাব ঐক্য পরিষদেও নব নির্বাচিত সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আশরাফ আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান শাহীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ডেভিট চৌধুরী, সদস্য আব্দুল মান্নান. মির্জা কাকন, ইদ্রিস বাবু, সৈকত, প্রিন্স, আক্তার হোসেন, হেদায়েত জহুরুল হায়দার, ফরহা দীবা খান সাথী ও শিমন।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে রাত ৯ টা ১৩ মিনিটে ও রাত ৯ টা ২১ মিনিটে সুপ্রভাত সাতকক্ষীরা অফিসের ফোন দিয়ে বার বার সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা বদরুল ইসলাম খান বদুর ০১৭৬২৬৮২২২১ নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি অপরপ্রান্ত থেকে ফোন কল রিসিভ করেননি।
সাজেক্রীসের সাধারণ সম্পাদকের আক্রমানত্বক আচরনে হতাশ সদস্যসহ ১৭ কর্মকর্তা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/