নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনিতে গোদাড়া আল-মাদানী দাখিল মাদ্রাসায় নিরাপত্তা প্রহরী-আয়া নিয়োগের নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০৭ অক্টোবর) নিজ অফিসে অভিযোগের তদন্ত করেন দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান। এলাকাবাসীর পক্ষে আবেদনকারী নজরুল ইসলাম তার লিখিত আবেদনে বলেন, উক্ত মাদ্রাসার একজন নিরাপত্তা প্রহরী ও একজন আয়া নিয়োগে গত ১০ আগস্ট ২০২০ তারিখে পত্রদূত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কিন্তু মাদ্রাসা সুপার শফিউল আলম, শিক্ষক প্রতিনিধি আব্দুল কাদের, সহকারী শিক্ষক ইসরাইল হোসেন, আব্দুল খালেক ও দপ্তরী ফউজুল্লাহ একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা করে ওই দিন এলাকায় বিতরণকৃত সকল পত্রদূত পত্রিকাগুলো নিজেরাই ক্রয় করে নেন। নিয়োগের কথা কাউকে না জানিয়ে তারা নিজেদের আত্মীয় স্বজন ও মনোনীত প্রার্থীদের আবেদনের সুযোগ করে দেন। কেউ জানতে না পারায় আবেদনের সময় মত আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতির কাছে গ্রামবাসীর পক্ষে জানতে চাইলে তারা কেউ সন্তোষজনক জবাব না দিতে পারেননি। গ্রামের শিক্ষিত বেকাররা যাতে আবেদনের সুযোগ পেতে পারে সেজন্য প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে পত্রিকায় পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য গত ২১ সেপ্টেম্বর২০ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বরাবর আবেদন করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা সোহাগ খান জানান, বাদীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দু’পক্ষের শুনানি করা হয়েছে। মাদ্রাসা সুপার শফিউল আলমের কাছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কিছু কাগজপত্র দেখাতে বলা হলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে দেখাতে না পারায় ৩ কর্ম দিবস সময় নিয়েছেন। সঠিক সিদ্ধান্তের জন্য তাকে সময় দেওয়া হয়েছে। তার কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করব। প্রসঙ্গত. নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত সোমবার শত শত এলাকাবাসী এলাকায় মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানায়।
গোদাড়া আল-মাদানী দাখিল মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্য অভিযোগের তদন্ত
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/