মুন্সিগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : শ্যামনগরে উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় নারী শিশুসহ ৪ জন মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে গাবুরার খোলপেটুয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ওই গ্রামের রজব গাজীর ছেলে বায়জিদ গাজী (৩০), জুনায়েদ গাজী (৩২), জুনায়েদ গাজীর শিশু কন্যা আয়শা (২) ও প্রতিবেশী রুহুল আমিন গাজীর স্ত্রী রিজিয়া (৩৭)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ‘নেছার কাগুচির ছেলে কাশেমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি বাহিনী ধারালো দা, বল্লম ও দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লোকমান গাজী সহ কয়েকজনের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে নারী শিশুসহ ৪ জনকে মারাত্মক ভাবে আঘাত করে। এলোপাথাড়ি কোপ ও বল্লবের আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে এবং নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়। কাশেম বাহিনীর এ প্রকাশ্য হামলায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে’। আহত জুনায়েদ গাজী জানায়, ‘আমাদের সাথে কাশেমের একটা বিরোধের জের ধরে তারা এ হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এর আগে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসার জন্য তাদেরকে বলেছিলাম। তারা মীমাংসার পথে না গিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে আমাদের মেরে ফেলতে চেয়েছিল। তাদের এই বর্বরোচিত হামলা থেকে আমার ৩ বছরের কন্যা সন্তান রক্ষা পায়নি। মা-বোনদের সম্ভ্রমহানির চেষ্টাও করেছে তারা’। আহত রিজিয়া জানায়, ‘বিচার কার কাছে দেবো! আমাদের বিচার করার মতো কেউ নেই! আমরা চাই শান্তি কিন্তু তাদের জন্য আমাদের এলাকা ছাড়ার উপক্রম হয়েছে। সব সময় সন্তান নিয়ে আমরা প্রাণের ভয়ে থাকি’। হামলার বিষয়ে কাশেম কাগুচির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ও লোকমানের সাথে দীর্ঘ দিনের একটি ঘের নিয়ে ঝামেলা চলছে তার সূত্রপাত ধরে আজকের এই মারামারি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন ইটপাটকেল ছোঁড়া-ছুঁড়ি হয়েছে কোন ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারামারি হয়নি’। গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাছুদুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি এলাকাতে নাই, খুলনায় আছি। মারামারি হয়েছে শুনেছি। জমিটা নিয়ে অনেকদিন ধরে ঝামেলা চলছে। ইতিপূর্বে এটাকে কেন্দ্র করে একজন খুন হয়েছে তারপরও থেমে নেই দুই পক্ষ’। তবে এ ঘটনায় দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি পুলিশে অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
গাবুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারী শিশুসহ আহত চার
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/