হুদা মালী, গাবুরা (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার খোলপেটুয়া নদী তীরের গাবুরা ইউনিয়নের ৯নং সোরা দৃষ্টিনন্দন এলাকা থেকে ডুমুরিয়া ঘাট পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার নদীর চরের বনায়ন ও বেড়িবাঁধ মারাত্মক ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। তারমধ্যে সোরা এলাকার সরকারি স্থাপনা দৃষ্টিনন্দন বর্তমানে বেশি ঝুঁকিতে আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, ‘যে কোন সময় প্লাবিত হতে পারে। পুনরায় তলিয়ে যেতে পারে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। বারবার ভাঙন হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াব্দার সন্নিকটে চলে এসেছে গাবুরার ঐতিহ্যবাহী বনায়ন সমৃদ্ধ ৯নং সোরার নদী চর’। সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজ হোসেন জানান, আমাদের মতে কলাগাছিয়া নদীর স্রোত প্রবাহের কারণে দৃষ্টিনন্দনের ভাঙন এলাকায় জি আই বস্তা, বøক ইত্যাদি ফেলে সমগ্র এলাকার ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।
চেয়ারম্যান জি,এম মাসুদুল আলম জানান, গাবুরার চাদঁনীমুখা, ৯নং সোরা থেকে ডুমুরিয়া পর্যন্ত নদী অববাহিকায় বৃহৎ নদীচর ছিল। পরবর্তিতে সেখানে প্রাকৃতিক বনায়ন গড়ে ওঠে। ২০০৪ সালে সোরা নদী চরে গড়ে ওঠে দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প। ৪৫ একর চরে দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের ভিতরে আছে লবনভুমি গাবুরার একমাত্র বৃহৎ খাবার পানির পুকুর, সাইক্লোন কামস প্রাইমারি, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, মসজিদ, খেলার মাঠ, ফসলী জমি, খাল, কয়েকশত নারকেলগাছ সহ অন্যান্য গাছ গাছালি। লবনভুমি গাবুরার প্রাকৃতিক অপার দৃশ্য মনোরম এই দৃষ্টিনন্দনের বাহিরের প্রায় ২০০ মিটার নদীচর বিগত কয়েকমাসে নদী ভাঙ্গনে চলে যায়। গত ২০ সেপ্টেম্বর ভয়াবহ ভাঙ্গনে চলে যায় রাস্তার কিছু অংশ। এলাকাবাসীর ধারণা দৃষ্টিনন্দনে এই মুহুর্তে নদী ভাঙন রোধ করার ব্যবস্থা ও আভ্যান্তরিণ রাস্তা দেওয়া জরুরী। দারিদ্র পিড়িত এলাকা হওয়ায় সরকারী সাহায্যে সমগ্র নদীচরের ভাঙন রোধে সাহায্য চান এলাকাবাসী। তিনি আরো বলেন, দৃষ্টিনন্দনে ভাঙন দেখা দেওয়ায় ভিতরের রাস্তা সংস্কারে ৩ টন চাল সরকারী বরাদ্দ পেয়েছি, তা খুবই সীমিত এটা দিয়ে নদী ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়।
গাবুরায় নদী ভাঙন ঝুঁকিতে কয়েক কিলো মিটার বেড়িবাঁধ
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/