অক্টোবর ৬, ২০২০
কালিগঞ্জে জমির বিরোধে হামলা হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে হামলা, মারপিট, ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২ টায় কালিগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উপজেলার পূর্ব মৌতলা গ্রামের শেখ শাহজাহানের ছেলে শেখ জাকির হোসেন বলেন, আমি একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। আমার বৃদ্ধ পিতা গ্রাম্য চিকিৎসক ছিলেন। আমার পিতা ১৯৭৭ সালে পূর্ব মৌতলার বাসিন্দা শেখ মোনতেজ আলী গংদের নিকট থেকে ৩৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। উক্ত ভোগদখলীয় জমির মধ্যে অন্যের নিকট হস্তান্তরের পর অবশিষ্ট ২৩ শতাংশ জমি আমার পিতা শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল করছিলেন। কিন্তু জমি বিক্রেতাগণ মারা যাওয়ার পর তাদের ওয়ারেশগণ অনাকাক্সিক্ষত ভাবে আমাদের উক্ত জমি নিয়ে নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং নানাভাবে বিরোধ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আমার পিতা সহকারী জজ আদালত (কালিগঞ্জ) এ ৮৫/১৮ নং মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে চলমান আছে। কিন্তু বিবাদীগণ মামলার বাদী ও সাক্ষীরা যাতে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হতে না পারে সে জন্য অব্যাহত হুমকি ধামকি ও কুট কৌশল অবলম্বন করে চলেছে। এমন কী গত ০৫/১০/২০২০ তারিখে ধার্য দিনে আদালত প্রাঙ্গণেও সাক্ষীকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেছে। তারা বাদীসহ সাক্ষীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিয়ে নি:স্ব করে দেয়া হবে বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিচ্ছে। এছাড়াও প্রতিপক্ষ মৃত শেখ মুনসুর আলীর ছেলে শেখ আমিনুর রহমান (৫৫), শেখ আহসানুর রহমান (৫০), শেখ মোমিনুর রহমান (৩৪) ও তাদের বোন শাহিনা পারভীন (৪৮), রেহেনা পারভীন (৩০), শেখ আহসানুর রহমানের স্ত্রী ফতেমা খাতুন (৪৪), শেখ আমিনুর রহমানের স্ত্রী মনিরা পারভীন (৪৬) সহ সহযোগীরা আইন-কানুন অমান্য করে আমাদের সাথে অযথা বিরোধ সৃষ্টি করে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৮ টার দিকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গ আমাদের বসত ঘর ও সীমানার ঘেরা বেড়া ভাঙচুর করতে থাকে। আমরা মৌখিক ভাবে নিষেধ করলে তারা আমার উপর ও পরিবারের সদস্যদের উপর এলোপাথাড়ি হামলা চালায়। পাশাপাশি আমাদের ঘরের বেড়া ভাঙচুর অব্যাহত রাখে। তাদের হামলায় আমার বড় ভাই শেখ জুনায়েদ হোসেন গুরুতর আহত হয়ে প্রথমে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরবর্তীতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে গত ১০/১১/২০১৯ খ্রি. তারিখেও প্রতিপক্ষরা আমাদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। সে সময় আমাদের পরিবারের ৬ জন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছিল। ইতিপূর্বে এসব বিরোধের বিষয়ে থানা কর্তৃপক্ষ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস থেকে একাধিকবার সরেজমিন তদন্ত করে আমাদের জমির মালিকানার যথার্থতার বিষয়ে এবং আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ সে বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছেন। আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষের হামলা, মামলা, জবরদখল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। 7,973,956 total views, 7,590 views today |
|
|
|