অক্টোবর ১৩, ২০২০
কালিগঞ্জের সেই নবজাতক মহারাজের নাম এখন ‘‘তিতাস’’
নিজস্ব প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে রাস্তার পাশ থেকে কুড়িয়ে পাওয়া সদ্যজাত শিশু ‘মহারাজ’ কে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তালা উপজেলার রাঢ়ীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিখা রাণী চৌধুরী ও তার স্বামী যশোরের সাগরদাঁড়ি কারিগরি ও বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার বরুন কুমার পালের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শেখ তৈয়েবুর রহমান আনুষ্ঠানিক ভাবে শিশুটিকে হস্তান্তর করেন। এর আগে দত্তক গ্রহীতা দম্পতি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আদালতের রায় অনুযায়ী দত্তক গ্রহণের চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। নবজাতকের জন্য প্রতিমাসে ৩ হাজার টাকার ডিপিএস ও দুই বিঘা জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হবে বলে চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। চুক্তিপত্রে শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ‘তিতাস’। গত ৪ অক্টোবর বিকেলে কাঁকশিয়ালী-গোলখালী ওয়াপদা সড়কে অবস্থিত মহাশ্মশানের কাছাকাছি ঘেরা-বেড়ায় বাজারের ব্যাগে ঝোলানো অবস্থায় স্থানীয় পথচারীরা সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া নবজাতক দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে সমাজসেবা কর্মকর্তা সদ্যজাত শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও পরিচর্যার ব্যবস্থা করেন। স্থানীয়রা শিশুটির নাম রাখেন ‘মহারাজ’। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুটিকে দত্তক প্রদানের ঘোষণা দেয়া হলে তাকে গ্রহণের জন্য ২৯ জন আবেদন পত্র জমা দেন। পরবর্তীতে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক রাসেলের নেতৃত্বে গঠিত শিশু কল্যাণ বোর্ড শিশুটির ভবিষ্যৎ কল্যাণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে ৯ শর্তে শিশুটিকে দত্তক প্রদানের জন্য সুপারিশ করে সাতক্ষীরা শিশু আদালতে পাঠান। গত ১২/১০/২০২০ তারিখে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান আবেদনকারীদের মধ্য থেকে শিখা রাণী চৌধুরী ও বরুন পালকে দত্তক গ্রহীতা হিসেবে মনোনীত করে রায় প্রদান করেন। রায়ের কপি ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া মর্জিনা খাতুন ও খাদিজা খাতুনের পরিচর্যায় থাকা ১০ দিন বয়সের ফুটফুটে শিশুটিকে সুস্থ অবস্থায় নতুন মা শিখা রানীর কোলে তুলে দেন। এসময় শিখা রানীর পিতা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, এনটিভি ও যুগান্তর’র জেলা প্রতিনিধি সুভাস চৌধুরী, তার স্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক মিনতী চৌধুরীসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 7,988,322 total views, 89 views today |
|
|
|