নিজস্ব প্রতিনিধি : কাপড় ব্যবসায়ী ফরহাদ হোসেন (৩২) দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক। সে দেবহাটা উপজেলার উত্তর সখিপুরের নুর ইসলাম গাজীর ছেলে। ছাত্রদলের পদ পেতে এবং রাজনীতির সুবিধার্থে জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স কমিয়ে ২৬ করে নিয়েছেন ফরহাদ। ২০১৩ সাল ও তৎপরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের আন্দোলনে সে ভূমিকা রাখে। সে সময় তৎকালীন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম ও রাজীব আহমেদের আস্থাভাজন হিসেবে ছাত্রদলের রাজনীতিতে উত্থান হয় ফরহাদের। পরবর্তীতে সে সখিপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলাও হয়। তার নামে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৫৩ দিন হাজতবাস শেষে জামিনে মুক্তি পায় ফরহাদ। উপজেলার কিছু বিএনপি নেতা ও তৎকালীন ছাত্রদলের শীর্ষ নেতাদের আশ্বাসে ছাত্রদলে পদ পাওয়ার জন্য ছাত্রত্ব দেখাতে ঢুকে পড়ে ভোকেশনাল একটি স্কুলে। সম্প্রতি কামরুল-রাজিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি বিলুপ্ত হলে ফরহাদ হোসেন দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের আহŸায়কের পদটি হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ছাত্রদল নেতা-কর্মীদের।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩১ আগস্ট ওই কাপড় ব্যবসায়ী ফরহাদকে আহŸায়ক ও ফিরোজ হোসেনকে সদস্য সচিব করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রদলের আহŸায়ক কমিটি অনুমোদন দেয় জেলা ছাত্রদল। একই সাথে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের কমিটি গঠন শেষে প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে উপজেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য সময়সীমা বেধে দেয়া হয়। কিন্তু সেই সময়সীমা পার হতে গেলেও অদ্যাবধি কোনো ইউনিয়নের কমিটি গঠন না করে এবং উপজেলা কমিটির ভোটের আয়োজন না করে বরং আহŸায়কের পদ ধরে রাখতেই এসব ইউনিটের কমিটি গঠনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে ফরহাদ হোসেন। এসব বিষয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহŸায়ক ফরহাদ হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বিষয়টি ওভারলুক করার অনুরোধ করে তিনি বলেন, ভাই সব কথা তো মোবাইলে বলা যায় না, দয়া করে আমার কাপড়ের দোকানে আসুন।
