অক্টোবর ৬, ২০২০
আশাশুনিতে দুই শিশুকে যৌন নিপিড়ন করার অভিযোগে পৃথক মামলা দায়ের
নিজস্ব প্রতিনিধি : মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে আশাশুনির পল্লীতে শিশু শ্রেণি পড়–য়া এক শিশু (৭) কে ধর্ষণের অভিযোগে আশাশুনি থানায় তরিকুল ইসলাম (১৮) এর নামে মামলা দায়ের করেছে শিশুটির মা। সোমবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের নাসিমাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভিকটিম শিশুটির মা মাসুরা পারভীন জানান, ‘তরিকুল আমার স্বামী পরিত্যক্তা ফুফু শাশুড়ির ছেলে। আমার ঘরের পরেই তাদের ঘর। সোমবার দুপুরে সে মোবাইলে ছবি দেখানোর কথা বলে আমার মেয়েকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পর মেয়ের ডাক-চিৎকার শুনে তরিকুলের ঘরের মধ্যে গেলে সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এসময় মেয়েটি বিবস্ত্র অবস্থায় কান্না-কাটি করছিল। গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় ওই রাতেই আমি মেয়েটির চিকিৎসার জন্য আশাশুনি হাসপাতালে নিয়ে আসি’। তিনি আরও জানান, ‘ওই নর-পিশাচ তরিকুলের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৮(১০)২০ একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে’। এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শহিদুল্লাহ জানান, ‘প্রাথমিকভাবে মনে হয় ভিকটিমের যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা করলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে’। অপরদিকে, একই দিনে আশাশুনি সদরের আদালতপুর গ্রামে ৩য় শ্রেণির এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাদী আদালতপুর গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক ফারুক মোল্যার স্ত্রী শরিফা খাতুনের মামলার বিবরণে জানা গেছে, ‘ঘটনার দিন বিকালে দুর্গাপুর প্রাইমারি স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী পাশের বাড়ির শিশুদের সাথে লুকোচুরি খেলছিল। এ সময় পাশের বাড়ির মৃত কাশেম গাজীর ছেলে ইসলাম গাজী অন্য শিশুদের বাড়িতে যেতে বলে শিশু মেয়েটিকে নিয়ে রান্নাঘরে নিয়ে তার উপর যৌন নির্যাতন করার এক পর্যায়ে শিশুটি চিৎকার করলে ইসলাম গাজী তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়’। এ ঘটনায় আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ মো. গোলাম কবীর জানান, ‘শিশু দুটির মায়েদের অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন আইনে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রথম ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ও দ্বিতীয় ভিকটিমকে জবানবন্দি দিতে সাতক্ষীরা আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি’। 8,013,166 total views, 8,066 views today |
|
|
|