সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
আশাশুনিতে সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম: মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ
নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনিতে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ ও হয়রানির প্রতিবাদ করায় তার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাংবাদিক সাইদুল ইসলাম এবং স্থানীয় শুকুর আলীসহ তার পরিবারের সদস্যরা। মাজেদের বিরুদ্ধে মামলা করলেও এখনো কোন আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় একের পর এক হুমকি-ধামকি ও হামলার শিকার পরিবারগুলো প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। থানায় দায়েরকৃত মামলা, অভিযোগ ও জিডি সূত্রে প্রকাশ, দরগাহপুরের ইউপি সদস্য রামনগর গ্রামের মৃত স্বরূপ গাজীর ছেলে মুজিবর এবং তার সহযোগীরা এলাকায় দীর্ঘদিন নিরীহ মানুষদেরকে মিথ্যা মামলা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করে আসছেন। জমিজমার বিরোধের শত্রæতায় তারা মৃত নছিমুদ্দীন গাজীর পুত্র শুকুর আলী দিংকে হয়রানি ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ১০ মে তারা শুকুরদের বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে শুকরকে বেদম মারপিট করে। ঠেকাতে গেলে তার বোন নাছিমা, চাচাত ভাই লিয়াকত ও ভাগ্নে রুবেলকেও মারপিট, শ্লীলতাহানি, ভাঙচুর করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আশাশুনি থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১০(৫)২০ নং মামলা রুজু করা হয়। এরপর থেকে তারা দায়েরকৃত মামলা উঠিয়ে নিতে হুমকি-ধামকি ও ক্ষয়ক্ষতি করতে থাকে। মামলা তুলে না নেওয়ায় গত ৭ জুন তারা শুকুরের মৎস্য ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছ ভাসিয়ে দেয়। বাঁধা দিতে গেলে তাকে আবারও মারপিট করে জখম করা হয়। এ ব্যাপারে ১০ জুন ইউপি সদস্য মুজিবরসহ ৪ জনের নামে আশাশুনি থানায় সাধারণ ডায়েরি (৩৯৭) করা হয়। আসামিরা গ্রেফতার এড়িয়ে বহাল তবিয়তে এলাকায় থেকে দাপটের সাথে বাদী পক্ষ ও স্বাক্ষীদের উপর খুন জখমের হুমকি অব্যাহত রাখে। এমনকি মুজিবর মেম্বরের কুকীর্তি পত্র পত্রিকায় প্রকাশের অপরাধে স্থানীয় সাংবাদিক সাইদুল ইসলামকে গত ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টার দিকে আসামিরা রামনগর বাজারে ফিল্টারের পাশে আটকে লোহার রড ও জিআই পাইপ দিয়ে নাকে, মাথায়, হাতে মারপিট করে হাড়ভাঙা জখম করে। তার হাতের আঙুল ও মুখের দাঁত ভেঙে যায়। গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস আটকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তার কাছে থাকা অপ্পো স্মার্ট ফোন ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে। স্বাক্ষীরা উপস্থিত হলে খবর প্রকাশের মজা দেখানো হবে বলে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। তাকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে ৭ সেপ্টেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়া গ্রামের কামাল হুসাইন, স্বপন কুমার ঘোষাল তাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি ও অভিযোগ করেছেন। বহু নির্যাতিত মানুষ তাদের দুর্দান্ত বাহিনীর ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আসামি ও অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও আসামিদের গ্রেফতারের জন্য বাদী পক্ষ ও এলাকার ভুক্তভোগীরা জোর দাবি জানিয়েছেন। সাথে সাথে অসহায় মানুষদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। 8,953,014 total views, 8,764 views today |
|
|
|