ডেস্ক রিপোর্ট : শ্যামনগরের ভুরুলিয়া সিরাজপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারী না হয়েও প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চেক উত্তোলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন শ্যামনগর উপজেলার রামগোবিন্দপুর (ধাপুয়ার চক) গ্রামের মৃত. তৈয়ব আলীর পুত্র আবু দাইয়ান।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, শ্যামনগরের ভুরুলিয়া সিরাজপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের এম এল এস এস পদে অবৈধভাবে গৌরীপুর এলাকার পানাউল্যাহ মল্লিকের পুত্র রাশেদুল ইসলামকে নিয়োগের চক্রান্ত শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আজিয়ার রহমান। বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যদের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে নিয়োগের বিষয়ে কোন নিয়োগ বোর্ড বা নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়নি এবং উক্ত পদে নিয়োগের বিষয়ে আদালতে মামলাও চলমান। যেহেতু তার নিয়োগই হয়নি। সেহেতু ওই রাশেদুল উক্ত প্রতিষ্ঠানের কিছুই না।
অথচ সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মচারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার প্রদান করেছেন। শ্যামনগরের ভুরুলিয়া সিরাজপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আজিয়ার রহমান উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিবুর রহমানের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ অবৈধভাবে উক্ত উপহারের চেক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী দেখিয়ে রাশেদুল ইসলামকে প্রদান করেন। অথচ রাশেদুল ইসলাম উক্ত প্রতিষ্ঠানের কোন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী নন। তাহলে কীভাবে প্রধান শিক্ষক এ ধরনের অনৈতিক কাজ করলেন। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের বডি কমিটির কোন সদস্যও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন।
উক্ত পদে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দেং-৩৩/১৮ নং মামলা চলমান রয়েছে। সে ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক এটা কোন ভাবেই করতে পারেন না। তিনি আরো বলেন প্রধান শিক্ষক আজিয়ার রহমান সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আদালতের রায়ের উপেক্ষা না করে রাশেদুল ইসলামকে তার প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসেবে উত্থাপনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মচারী নিয়োগে যে নিয়ম নীতি রয়েছে সেগুলোর দিকে না খেয়াল রেখে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে এ ধরনের কাজ তিনি করে যাচ্ছেন। এসব বিষয় অবগত হয়েও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মিনা হাবিবুর রহমান ওই রাশেদুলের নামে কীভাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চেক দিলেন তা আমাদের বুঝে আসে না। আমাদের ধারণা তারা দুই জন যোগসাজশে রাশেদুল কে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী বানানোর পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
তিনি রাশেদুলের কাছ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চেক ফেরত নিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত কর্মচারীদের মধ্যে বিতরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবাহারকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।