Site icon suprovatsatkhira.com

বুড়িগোয়ালিনীতে বালুর উপরে রিং বাঁধ: প্লাবন ঝুঁকিতে দশটি গ্রাম

মুন্সিগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : গত ২০ মে আম্পানের আঘাতে শ্যামনগরের ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়ি বাঁধ গুলোর মধ্যে অধিকাংশই ভেঙে গিয়ে পানিতে প্লাবিত হয় উপক‚লের এলাকা। সরকারি বেসরকারি স্বেচ্ছাশ্রম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে কাজ করে রিং বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ সাময়িক বন্ধ করা হয়। ভাঙন কবলিত ক্লোজার গুলো আটকাতে বালু ভরাট দেয়। রিং বাঁধ গুলো স্থায়ী করতে পাউবোর পক্ষ থেকে কাজ শুরু করেছে ভাঙন কবলিত এলাকায় । পাউবো সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ না করে বালুর উপর মাটি দিয়ে রিং বাঁধ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অপরিকল্পিত ভাবে বালুর উপর মাটি দিয়ে রিং বাঁধ দেওয়ায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে গেলে পাউবোর কর্মকর্তারা প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে এ ধরনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। সম্প্রতি বুড়িগোয়ালিনি ইউনিয়নের দাতিনাখালি মাসুদ মোড়ের এক কিলোমিটার বাঁধ ভাঙনের রিং বাঁধের কাজ শুরু করে পাউবো। পাউবোর সেকশান অফিসার শাহানাজ পারভীনের উপস্থিতে বালুর উপর মাটি দিয়ে রিং বাঁধ দিতে শুরু করলে স্থানীয় সচেতন মহল প্রতিবাদ করে। পাউবোর সেকশান অফিসার শাহানাজ পারভীন ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় অভিযোগ করে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জিল্লুর রহমান জানান, ‘আমার বাড়ির উপর দিয়ে রাস্তা দিচ্ছে। বালুর উপর মাটি দিয়ে আমি সেটা নিষেধ করতে গেলে আমার নামে মামলা দিয়েছে’। স্থানীয় কাঁকড়া ব্যবসায়ী মিজানুর মোড়ল বলেন, ‘অনেক প্রত্যাশার পরে রিং বাঁধের কাজ শুরু করলেও যেভাবে বালুর উপর মাটি দিয়ে রিং বাঁধ দেওয়া হচ্ছে তাতে এক বছরের মধ্যে মাটি দেওয়া রিং বাঁধের নীচে থেকে বালু সরে আবার ভেঙে যাবে’। স্থানীয় বাসিন্দা খালেকুল জানান, ‘বালুর বস্তা ও বালুর উপর মাটি দিয়ে রিং বাঁধ দিচ্ছে জোয়ারের আসলে বালু সরে গেলে ভেঙে যাবে। আমাদের আবার পানিতে ভাসতে হবে’। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শাহিনুর রহমান বলেন, ‘পাউবোর এস্টিমেট অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে’। বুড়িগোয়ালিনি ইউপি চেয়ারম্যান ভবোতষ কুমার মন্ডল বলেন, ‘বালুর উপর দিয়ে রিং বাঁধ দেওয়া বিষয়টি শুনেছি। যদি এভাবে রিং বাঁধ করে তাহলে আবার ভেঙে যাবে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে তদন্ত পূর্বক পাউবোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে’। পাউবোর সেকশন অফিসার উপ-প্রকৌশলী শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘বালুর উপর দিয়ে রিং বাঁধ দেওয়া আমরাও চাই না। কিন্তু জায়গা না থাকলে তো বাঁধ দিতে হবে’। স্থানীয়দের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘স্থানীয় জিল্লুর রহমানসহ তার দলবল আমাদের কাজ বন্ধ করে দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সে কারণেই থানায় অভিযোগ করেছি’। বাজেটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না স্যারেরা বলতে পারবে’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version