নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগে নিজের পদ ফিরে পাওয়ার দাবিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন কেন্দ্রীয় ঘোষিত সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ঊর্ধ্বতন সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম। রবিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম আবেদনটি গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের ত্যাগী সংগঠক মুক্তিযোদ্ধা মো. শহিদুল ইসলাম লিখিত আবেদনে জানান, গত বিগত ০৫ আগস্ট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি সাময়িক অনুমোদন দিয়ে গত ০৫ সেপ্টেম্বর তাকে বাদ দিয়ে শেখ আব্দুর রশিদকে ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি বরাবর চিঠি দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব-ভার দেওয়া হয়েছে। করোনাজটে ও শোকের মাসে সাংগঠনিক বিষয় বন্ধ ছিল। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে কমিটি অনুমোদন খুবই দুঃখজনক ও অনাকাক্সিক্ষত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও জানান, ‘বিগত ২০১৯ সালের ০৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সদর উপজেলায় ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃবৃন্দের মধ্যস্ততায় তাকে পনেরো জনের আংশিক কমিটিতে ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়েছিল। তিনি দুঃখে ক্ষোভে ১২ জানুয়ারি একটি পদত্যাগপত্র দেন। পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করার জন্য ক্ষমা চেয়ে জেলা নেতৃবৃন্দের কাছে বিনয়ের সাথে অনুরোধ জানান। এরপর কেন্দ্রীয় নির্দেশ মোতাবেক গত ২৯ জুলাই জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বাক্ষরিত একটি পত্রের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের মাস ব্যাপী কর্মসূচি পালন করার জন্য বলা হয়। জেলা আওয়ামী লীগ তাকে ক্ষমা করে ও মানবিক দিক বিবেচনা করবেন বলে তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন। তিনি জানান, ‘গঠনতন্ত্রের ধারা ৫৮ উদ্ভ‚ত সমস্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ বা জাতীয় কমিটির ক্ষমতা। গঠনতন্ত্রের ধারা ৮ কাউন্সিলের কোন কার্যক্রম বা সিদ্ধান্ত বাতিল বে-আইনি বা গঠনতন্ত্র বহির্ভূত’।
একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের ত্যাগী সংগঠক হিসেবে জীবনের অন্তিম ক্লান্তিলগ্নে তার সম্মানটুকু উদার মানবিকতায় ফেরত পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।