Site icon suprovatsatkhira.com

ঝাউডাঙ্গার সাতক্ষীরা ফুড বেকারিতে শিশু খাদ্য তৈরিতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি

স্টাফ রিপোর্টার : সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গায় সাতক্ষীরা ফুড বেকারিতে করোনা মহামারি কালীন মাক্স ও হ্যান্ডগেøাব ছাড়াই অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে নি¤œ মানের বেকারি পণ্য এবং বিভিন্ন ধরনের শিশু খাদ্য। স্থানীয়রা বলছেন প্রশাসনের তদারকি না থাকায় দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে এসব নি¤œ মানের বেকারি ও কারখানা। এদিকে এসব বেকারিগুলি বিএসটিআই অনুমোদন না থাকায় প্রতি মাসে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া একদিকে নিয়মিত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা। অন্যদিকে নি¤œ মানের খাদ্যদ্রব্য বিক্রি করে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে বেকারি মালিকরা। সরেজমিনে রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঝাউডাঙ্গার সাতক্ষীরা ফুড বেকারি ঘুরে দেখা গেছে, করোনা মহামারি কালীন মাক্স, হ্যান্ডগেøাব ও পোশাক বিহীন বেকারির খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করছে। বেকারির উৎপাদিত পণ্যের মান নির্ধারণের জন্য সরকারের বিএসটিআই অনুমোদন নেয়ার নিয়ম থাকলেও কিছুই নেই তাদের। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর, নোংরা ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে নি¤œমানের পামওয়েল, আটা-ময়দা দিয়ে কেক, বিস্কুট, পাউরুটি, লাড্ডু, শিশু খাদ্যসহ বেকারি পণ্য তৈরি হচ্ছে। মানা হচ্ছে না ভোক্তা অধিকার নীতিমালা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরিসহ মুখরোচক খাবার তৈরির জন্য ময়দার সাথে বিষাক্ত রাসায়নিক পাউডার মিশানো হয়। এছাড়া কারখানার শ্রমিকদের নির্দিষ্ট কোন পোশাক না থাকায় অনেকের শরীর থেকে ঘাম ঝরে তৈরিকৃত খাদ্যের উপর পড়ে। তেল ভর্তি ড্রাম ও তেলের পাত্র খুলে রাখায় তার উপরে মাছিসহ বিভিন্ন পোকা তেলের উপর বসে থাকে। সাতক্ষীরা ফুডস বেকারির পরিচালক শামিম হোসেন বলেন, ‘হ্যান্ডগেøাব, মাক্স ও পোশাক পরে কাজ করা যায় না’। সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয় দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version