ডেস্ক রিপোর্ট : আশাশুনির আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন ও দুই মেম্বরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের করা মামলার সাক্ষী হারুন শিকারীকে মারপিট করে তার দু’পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাক্ষী এফিডেভিট করে না দেয়ায় মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে ইউপি সদস্য আলম হোসেনের নেতৃত্বে রাজাপুর বৌ-বাজার এলাকায় এই মারপিটের ঘটনা ঘটে। আহত হারুন শিকারী (৪৫) আশাশুনি উপজেলার মধ্যম একসরা গ্রামের মৃত জেহের আলী শিকারীর ছেলে। তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত হারুন শিকারী জানান, আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনের স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির খতিয়ান তুলে ধরে ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সদস্য সাহাবুদ্দিন সানা বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন ও সদস্য জিয়ারুল ইসলাম এবং শওকত হোসেনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে দুর্নীতি দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। বিচারক মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করেন। আমি ওই মামলার একজন সাক্ষী। বেশ কিছুদিন আগে থেকে চেয়ারম্যান লিটন, মেম্বর যথাক্রমে আলম হোসেন, জিয়ারুল ইসলাম ও শওকত হোসেন সাক্ষী এফিডেভিট করে দেয়ায় জন্য আমার উপর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। আমি রাজি না হওয়ায় তারা আমাকে মারপিটসহ খুন জখমের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। যার প্রেক্ষিতে আশাশুনি থানায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সাধারণ একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাছের খাবার ক্রয়ের জন্য মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে আমি পার্শ্ববর্তী রাজাপুর বৌ-বাজারে যাই। এসময় আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি সদস্য আলম হোসেন, শওকত হোসেন ও জিয়ারুলের নেতৃত্বে সুজনসহ ১০/১২ জন সন্ত্রাসী লোহার রড, হাতুড়ি সহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা মধ্যযুগীয় কায়দায় মারপিট করে আমার দু’পা ভেঙে দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে হুমকি ধামকি দিয়ে বীর দর্পে ঘটনা স্থল ত্যাগ করে। আনুলিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন জানান, দুর্নীতি মামলা সাক্ষী হারুন শিকারীকে মারপিট করে তার পা ভেঙে দিয়ে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। খবর পেয়ে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবির সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
