সমীর রায়, নিজস্ব প্রতিনিধি : অমাবস্যা গোনের প্রভাবে আশাশুনির খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষে অস্বাভাবিক-হারে পানি বৃদ্ধিতে প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের রিং বাঁধ ভেঙে আবারও তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। গত শুক্রবার প্রতাপনগর ও শ্রীউলার রিং বাঁধ ভেঙে যায় এবং পরদিন শনিবার দুপুরের জোয়ারে আশাশুনি সদরের জেলেখালি সদরের রিং-বাঁধ ভেঙে যায়। এতে প্রতাপনগরের ১৭ টি গ্রামে আরও পানি বৃদ্ধি পায়। শ্রীউলার রিং বাঁধ ভেঙে আবারও প্রবল বেগে পানি ঢুকে ওই ইউনিয়নের ২২টি গ্রামকে প্লাবিত করে আশাশুনি সদর ইউনিয়নে ঢুকে আবারও নতুন করে প্লাবিত করে খাসেরাবাদ, নাটানা, কমলাপুর, বলাবাড়িয়া, হাঁসখালী, গাইয়াখালি, ঠাকুরাবাদ, কমলাপুর গ্রামগুলিকে। জেলেখালী রিং বাঁধটি ভেঙে নতুন করে প্রায় ৮০টি পরিবার পানি-বন্দী হয়েছে। সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন দ্রæত পদক্ষেপ নিলে ওই দিন রাতের জোয়ারের আগেই জেলেখালি বাঁধটি মেরামত করা হয়।
কিন্তু শ্রীউলার রিং বাঁধের একাধিক জায়গায় ভেঙে যাওয়ার কারণে ভাটির গোন না এলে বাঁধা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৪ কি.মি. বেড়ি-বাঁধ ভেঙে প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়ন লÐভÐ হয়ে যায়। এছাড়া আনুলিয়া ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামও বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এরপর রিং বাঁধ দিয়ে এসব এলাকার কয়েকটি গ্রামকে জোয়ারের পানির হাত থেকে রক্ষা করা গেলেও ঠিক ৪ মাস পরে ২০ আগস্ট নদীর জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধিতে রিং বাঁধ ভেঙে আরও নতুন নূতন এলাকা প্লাবিত হয়। শ্রীউলার ২২ টি গ্রামকে সুরক্ষিত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতায় স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে বানভাসি মানুষের স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণে হাজরাখালি থেকে মাড়িয়ালা হয়ে কোলা-ঘোলা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ কি.মি. রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানো হয়। কিন্তু চলতি কলাকাটা অমাবস্যা গোনের প্রভাবে আবারও রিং বাঁধ ভেঙে গিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে শ্রীউলা ও আশাশুনি সদর প্লাবিত হয়ে যায়। বর্তমানে প্রতাপনগর, শ্রীউলার সব কয়টি ও আশাশুনি ইউনিয়নের বড় একটি অংশ এখনও পানিতে ডুবে আছে। মানুষের জানমাল রক্ষার্থে আগামী কাল থেকেই নতুন উদ্যমে রিং বাঁধের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছেন চেয়ারম্যানবৃন্দ।