Site icon suprovatsatkhira.com

অবসরের পরও আশাশুনি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন!

নিজস্ব প্রতিনিধি : আশাশুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম চাকুরির বয়স-সীমা শেষ হলেও কলেজের দায়িত্ব পালন করায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বয়স-সীমা শেষ হলেও কীভাবে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন এমন প্রশ্ন চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সকল মহলে। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা- ২০১৮ এ উল্লেখ আছে, ‘বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হবার পর কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান/সহ. প্রধান/শিক্ষক-কমচারীকে কোনো অবস্থাতেই পুনঃ নিয়োগ কিংবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।’ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ০৬ জুন ২০১১ তারিখের পরিপত্র ও ০৯ জুলাই ২০১২ তারিখের সংশোধনী মোতাবেক দেখা যায়, প্রতিষ্ঠান প্রধান (অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষক) না থাকলে সহকারী প্রধান/উপাধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন করবেন, তিনি না থাকলে জ্যেষ্ঠতম সহকারী শিক্ষক/ জ্যেষ্ঠ সহকারী অধ্যাপক দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে আশাশুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলামের চাকুরির বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হয়েছে। এরপরও তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর না করে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমপিও নীতিমালা ও কাঠামো-২০১৮ মোতাবেক দায়িত্ব পালনের সুযোগ না থাকায় এ নিয়ে তর্কা-তর্কি চলছে। গত ১০ আগস্ট ২০২০ তারিখের ৩৭.০২.০০০০.১০৫.২৭.০৩৬.১৯.২৫১ নং স্মারকে অধ্যক্ষের দায়িত্ব-ভার হস্তান্তরকরণ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বেসরকারি কলেজ শাখার একপত্রে দেখা গেছে, ঢাকা মহানগরের ইউনিভারসিটি উইমেনস ফেডারেশন কলেজের অধ্যক্ষ আফরোজা ইয়াসমিন এর বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ায় জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে দায়িত্ব-ভার হস্তান্তর না করায় পত্র প্রাপ্তির ৭ (সাত) কর্ম-দিবসের মধ্যে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের কাছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব-ভার প্রদানের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তবে আশাশুনি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বয়স ৬০ বছর পূর্ণ হওয়ার পরও কীভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তা ক্ষতিয়ে দেখতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে গণিত শিক্ষক হিসাবে এক বছরের পাঠদানের অনুমতি দিয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজুলেশন ও চাকুরি বিধি অনুযায়ী গভর্নিং বডি সিনি. শিক্ষক হিসাবে আমাকে এক বছরের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব অনুমোদন করেছেন। তাই নিয়ম মেনেই আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছি কোন অনিয়ম করা হয়নি’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version