Site icon suprovatsatkhira.com

মাছ ও কাঁকড়ার ন্যায্যমূল্য না থাকায় উপকূলীয় জেলেদের মাথায় হাত

জি এম মাসুম বিল্লাহ, মুন্সিগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : সুন্দরবন আদিকাল থেকে উপক‚লীয় জনগোষ্ঠির জীবন জিবীকা হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আগের দিনে মধু, মাছ, রেনু ধরা, কাঁকড়া, জ্বালানি, গরান, গোলপাতা, শামুক, গেওয়াসহ অনেক প্রজাতির সম্পদ আহরোন করতো। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণে সুন্দরবনের উপর চাপ বাড়ছে । যার কারণে প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রাণী সম্পদ রক্ষার্থে রয়েছে সরকারি বেসরকারি নানা বিধি নিষেধ। বর্তমানে মাছ ও কাঁকড়া ধরা চালু থাকলেও বিধি নিষিধের আওতায় রয়েছে প্রজনন মৌসুম। তাছাড়া সুন্দরবনের পরিবেশ রক্ষার্থে প্রানীকূলের অভয়ারণ্য হিসাবে রয়েছে নির্দিষ্ট পরিবেশ এলাকা। এটা আমাদের সুন্দরবন রক্ষার্থে সুদূরপ্রসারী ভাল উদ্দোগ। কিন্তু বিগত ২মাস সুন্দরবনে মাছ ও কাঁকড়া ধরা বন্ধ রাখা হয় মাছের প্রজনন মৌসুম হিসাবে। মাছ ও কাঁকড়ার জন্য আলাদা প্রজনন মৌসুম থাকলেও বন বিভাগ একই সাথে বন্ধ রাখছে দুইবারে ৪ মাস। ১ সেপ্টেম্বর বন বিভাগের পারমিট নিয়ে রেকর্ড সংখ্যক জেলে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে বন্ধ আছে কাঁকড়ার রপ্তানি। কাঁকড়ার প্রতি কেজির মূল্য ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার পরিবর্তে নেমে এসেছে ১০০ বা তারও কম টাকায়। সমপরিমাণ ভাটা লেগেছে মাছের দামে কমছে অনেক বেশি। তার ফলে বিধি নিষেধ ও দরপতনের ফলে অর্থনৈতিক ভাবে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত উপক‚লীয় বৃহৎ জনগোষ্ঠী। পেশা হারাতে বসেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নদী, সুন্দরবন এবং সাগরের উপর জীবিকার জন্য নির্ভর করা মানুষ। বন এলাকার মানুষের দাবি কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে শুধুমাত্র কাঁকড়া ধরা বন্ধ এবং মাছের প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধ থাকে তবে সেটা পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে মিলিয়ে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version