স্টাফ রিপোর্টার : পর্যাপ্ত ধানের অভাব আর মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চাহিদা কম থাকায় সাতক্ষীরার সদর উপজেলার ঝাউডাঙ্গা বাজারের অধিকাংশ আতব রাইচ মিল এখন বন্ধের পথে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝাউডাঙ্গা বাজারের ১৪টি আতব রাইচ মিলের মধ্যে ৫টি ইতিমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা জানায়, ‘দেশের সিংহভাগ চাল উৎপাদন কেন্দ্র নামে ক্ষেত ঝাউডাঙ্গা বাজার। এখান থেকে আতব চাউল উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত ধান না পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা বার বার লোকসানে পড়ছেন। তাছাড়া করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের অভ্যন্তরীন বাজারে আতব চাউলের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঝাউডাঙ্গার আটো রাইচ মিলগুলো। ঝাউডাঙ্গা বাজারের ১৪ টি মিলের মধ্যে ভাই ভাই অটো রাইচ মিল, মেঘনা অটো রাইচ মিল, সততা অটো রাইচ মিল, একতা অটো রাইচ মিল, করিম অটো রাইচ মিল বন্ধ হয়ে গেছে। বাকি ৯টি অটো রাইচ মিলের ব্যবসায়ীরা শ্রমিকের পাওনা টাকা দিতেও হিমশিম খাচ্ছে। সৌরভ অটো রাইচ মিলের পরিচালক দিলীপ সরকার জানান, ‘গত ৫ মাস করোনা প্রাদুর্ভাবে ব্যবসা খুব খারাপ হয়ে গেছে। বর্তমানে ১৪শ’ টাকা হারে ১মণ ধান ক্রয় করছি কিন্তু ধান বাজারে পর্যপ্ত না থাকায় আমার রাইচ মিল বন্ধ হওয়ার পথে’।
শুভ আতব অটো রাইচ মিলের পরিচালক প্রভাষ ঘোষ বলেন, ‘একে তো ব্যাংক ঋণ নেওয়া ৬০ লক্ষ টাকা। এদিকে ধান পাওয়া যাচ্ছে না? বসিয়ে রেখে শ্রমিকের বেতন দিতে হচ্ছে। আমরা দেউলিয়া হয়ে যাচ্ছি। সরকার যদি আমাদের প্রতি সুদৃষ্টি না দেয় তা হলে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হব’।
বন্ধের পথে ঝাউডাঙ্গার আতব রাইচ মিল: হতাশ ব্যবসায়ীরা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/