ডেস্ক রিপোর্ট : সাম্প্রতিক অতি বর্ষণে সাতক্ষীরা পৌর এলাকার সৃষ্ট জলাবদ্ধতাকে পুঁজি করে কথিত নাগরিক কমিটি নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের নামে কতিপয় ব্যক্তি সাবেক শিবির ক্যাডার স.ম হাফিজুর রহমান মাসুম এর নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, সাতক্ষীরা পৌরসভার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে অভিযোগ করেছেন সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলাররা। বিভিন্ন ভুঁইফোঁড় নাগরিক কমিটির নামে সাতক্ষীরার জনপ্রতিনিধিসহ দায়িত্বশীলদের নিয়ে কটূক্তি করা, জনগণকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া, গুজব রটানো এবং জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার প্রতিবাদে সাতক্ষীরা পৌরসভার উদ্যোগে আয়োজিত কর্মবিরতি ও মানবন্ধনে এসব অভিযোগ আনা হয়। বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় শহরের শহীদ নাজমুল সরণির মিনি মার্কেটের সামনে সাতক্ষীরা পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতির সভাপতিত্বে সাতক্ষীরা পৌর সভার কাউন্সিলার, কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং পৌরসভার ০৯ টি ওয়ার্ডের নাগরিকরা কথিত নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের বিরুদ্ধে এ মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধন ও ২ ঘণ্টার কর্মবিরতিতে বক্তব্য রাখেন পৌর কাউন্সিলার সৈয়দ মাহমুদ পাপা, মহিলা কাউন্সিলার জ্যোৎস্না আরা, পৌরসভার প্যানেল মেয়র কাজী ফিরোজ হাসান, প্যানেল মেয়র ফারহা দীবা খান সাথী, পৌর কাউন্সিলার শেখ শফিক উদ-দৌলা সাগর, পৌর কাউন্সিলার শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, কাউন্সিলার শেখ আব্দুস সেলিম, শফিকুল আলম বাবু প্রমুখ। এ সময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘সাতক্ষীরা প্রাণ সায়ের খালের খনন কাজের টেন্ডার হয়েছে ৭/৮ মাস আগে। বর্ষার আগেই যদি এই খাল খনন কাজ হতো তাহলে পৌর এলাকায় এত জলাবদ্ধতা হত না। ক্যানেল করে বা ড্রেন করে এ পানি নিষ্কাশন সম্ভব নয়। ভারী বর্ষণে প্লাবিত এলাকার চেয়ে নদীর উচ্চতা আরো উপরে। নিচু এলাকার পানি কীভাবে উঁচু নদীতে যাবে। যারা পানি নিষ্কাশনের দাবিতে আন্দোলন করছে তারা সরেজমিনে গিয়ে অবস্থাটা দেখে আসলেই বুঝবে। জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নদী খননের বিকল্প নেই। ইছামতি, মরিচ্চাপ ও বেতনাসহ সাতক্ষীরার কয়েকটি নদী পুনঃ খনন করতে হবে। সাতক্ষীরার জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেই সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান হবে। কথিত নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে সাতক্ষীরা পৌরবাসি। সম্প্রতি এই কথিত নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ কিছু সহজ সরল গুটি কয়েক মানুষদের ভুল বুঝিয়ে পৌরসভা চত্বরে বিছানা বালিশ নিয়ে পৌরসভা ঘেরাও এর নামে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য ও গালিগালাজ করেছে। আন্দোলনের নামে যা করেছে তা খুবই নিন্দনীয়। সাতক্ষীরায় জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করতে আর কোন ষড়যন্ত্র হলে সাতক্ষীরা পৌরবাসি তাদেরকে সামাজিকভাবে বয়কটসহ দাঁত-ভাঙা জবাব দেবে। বক্তারা আরও বলেন, সাতক্ষীরার বহুল বিতর্কিত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিবির ক্যাডার স.ম হাফিজুর রহমান মাসুম বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী সেজে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাঁধাগ্রস্ত করাসহ সরকারের ভাব মূর্তি ক্ষুণ্ন করতে গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কে এই মাসুম তার এস.এ খতিয়ান সাতক্ষীরাবাসী সবই জানে। সে ছিল আসলে জামাত শিবিরের ফুলকুড়ি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। সে গিরগিটির মত রুপ পাল্টিয়ে ক্ষমতাসীন দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঢুকে বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা বলেন, সরকারের উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করতে জনগণকে উসকে দিচ্ছে এই শিবির ক্যাডার মাসুম। সাতক্ষীরা পৌরবাসি এই সকল উস্কানী দাতাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। সাতক্ষীরার জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করে আসছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় এ মানববন্ধন থেকে।
কথিত নাগরিক কমিটির নামে শিবির ক্যাডার বুদ্ধিজীবী সেজে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাঁধাগ্রস্ত করছে: পৌরসভার কর্মবিরতি ও মানববন্ধনে বক্তারা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/