ডেস্ক রিপোর্ট : আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অব্যাহতি প্রাপ্ত সভাপতি জামায়াত-শিবিরের পৃষ্ঠপোষকতাকারী মাহমুদুল হাসান মিলন কর্তৃক ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন প্রতাপনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কল্যাণপুর গ্রামের মো. আতিয়ার রহমান ঢালীর ছেলে মো. আশিকুজ্জামান আশিক।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনে শেখ জাকির হোসেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে তিনি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। অনিয়ম ও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থেকে এই গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করায় জামায়াত-শিবির অধ্যাসিত অশান্ত প্রতাপনগর ইউনিয়নে মানুষের মাঝে দ্রæত স্বস্তি ফিরে আসে। অবহেলিত মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটিয়ে ইউনিয়নের রাস্তা ঘাট নির্মাণের পাশাপাশি বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন শেখ জাকির হোসেন। তার সঠিক দিক নির্দেশনায় ইউনিয়নের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সৃষ্ট পরিবেশ ফিরে এসেছে। যার ফলশ্রæতিতে ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আবারও তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। একইভাবে ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি পদে বহাল থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করে তোলেন। তিনি সকল ধরনের অনিয়মের ঊর্ধ্বে থেকে ভিজিডি কার্ড বণ্টন, প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সাহায্যের টাকা ও ত্রাণের চাল বিতরণসহ জনগণের অন্যান্য সব ধরনরে সরকারি সাহায্য ও সহযোগিতা ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে যথাযথভাবে প্রদান করেন। ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে কর্ম সৃজন কর্মসূচি প্রকল্প, কাবিটা, কাবিখা, এলজিএসপি, এডিপিসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর আত্মসামাজিক উন্নয়নের লক্ষে বর্তমান সরকারের বরাদ্দের টাকা পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছেন। এছাড়া বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও মাতৃকালীন ভাতা ভোগীরা ভাতার টাকা নিজেরাই ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন।
তিনি আরো বলেন, গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তান্ডবে বেড়ি-বাঁধ ভেঙে পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়ে। এই দুর্ভোগ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ২০ আগস্ট নদ-নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়ি-বাঁধ ও রিং-বাঁধ ভেঙে ফের প্লাবিত হয় প্রতাপনগরের বিস্তীর্ণ এলাকা। বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন ইউনিয়নবাসীকে সাথে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতে দিনরাত কাজ করে চলেছেন। বানভাসি মানুষের জন্য ত্রাণ নিয়ে ছোটেন এপ্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক নির্মাণে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে একটি স্বার্থান্বেষী মহল চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের সুনাম ক্ষুন্ন করতে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করে। প্রতাপনগর ইউনিয়নে ফের জামায়াত শিবিরকে প্রতিষ্ঠিত করতে ইউনিয়ন ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত সভাপতি প্রতাপনগর গ্রামের শাহ আলম সরদারের ছেলে মাহমুদুল হাসান (মিলন) ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি থেকে অব্যাহতি পাওয়া আব্দুস সামাদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা ধরনে মিথ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে। পুলিশ মারা ও পর্ণগ্রাফি মামলার আসামি হওয়ায় ও নৈতিক স্খলনের দায়ে মাহমুদুল হাসান মিলন কে প্রতাপরগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। দল থেকে বহিষ্কার হয়ে সে সাঈদী মুক্তি মঞ্চের সহযোগিতাকারী ও জামায়াত-শিবিরের সাথে হাত মিলিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
আশিকুজ্জামান আশিক অভিযোগ করে বলেন, অব্যাহতি প্রাপ্ত হয়েও মাহমুদুল হাসান (মিলন) নিজেকে সভাপতির পরিচয় দিয়ে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। সম্মেলনে তিনি যে তথ্য উপস্থাপন করেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যে, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রতাপনগর ইউপি’র একাধিকবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ও জামায়াত-শিবিরের দ্বার প্রভাবিত হয়ে মিলন সাংবাদিকদের কাছে এ ধরনের মিথ্যে তথ্য উপস্থাপন করেছেন। ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত সকল সরকারি সহযোগিতা যথাযথভাবে বাস্তায়ন করা হয়েছে। কাজেই আমি মিলনের দেয়া মিথ্যে তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যে অপপ্রচার চালিয়ে তার সামাজিক সুনাম ক্ষুন্ন করে ইউনিয়নের ফের জামায়াত-শিবিরকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টাকারি মাহমুদুল হাসান (মিলন)ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রতাপনগর ইউনিয়ন অ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বর কহিনুর ইসলাম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম।
আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/