আগস্ট ৩১, ২০২০
কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলায় সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে জেলা আওয়ামীলীগের মানববন্ধন
রাকিবুল ইসলাম : সাতক্ষীরা কলারোয়ায় ২০০২ সালে ৩০ আগস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মামলা দ্রুত বিচার নিষ্পত্তি ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার (৩১ আগস্ট) সকাল ১১ টায় শহরের নিউমার্কেট মোড়ে শহীদ আলাউদ্দীন চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মুনসুর আহম্মেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ সাহিদ উদ্দিন, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. ওসমান গণি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহাদাত হোসেন, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহŸায়ক জহিরুল ইসলাম নান্টু সহ প্রমুখ। জেলা আওয়ামী লীগের মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে রাস্তার উপর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও তৎকালীন সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও বিএনপি নেতা রঞ্জুর নির্দেশে বিএনপি ও যুবদলের নেতা কর্মীরা দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মতিন, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাথী ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে এক ডজন দলীয় নেতা কর্মীরা আহত হন। এ ঘটনায় থানা মামলা না নেওয়ায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমাÐার মোসলেমউদ্দিন বাদী হয়ে যুবদল নেতা আশরাফ হোসেন, আব্দুল কাদের বাচ্চুসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০/৭৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলেও তৎকালীন কলারোয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঘটনা মিথ্যা বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে না-রাজির আবেদন, জজ কোর্টে রিভিশন খারিজ হয়ে গেলে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট বাদী এ আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে আপিল করলে ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই আপিল মঞ্জুর করে নিæ আদালতের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে নি¤œ আদালতে মামলার কার্যক্রম নতুন করে শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান জেলা বিএনপি’র সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে এসটিসি ২০৭/১৫, এসটিসি ২০৮/১৫ দু’টি ও টিআর-১৫১/১৫ বিচার চলতে থাকে। আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা তিনটির কার্যক্রম যথাক্রমে ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট ও ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিত করে। বাদী জীবদ্দশায় আদালতে সাক্ষী দিতে পারবে বলে তারা এখন মনে করেন না। অবিলম্বে উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিম্ন আদালতে বিচার কার্যক্রম শুরু করে দ্রæত বিচারের দাবি জানান নেতা কর্মীরা। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুণ অর রশিদ। 8,435,549 total views, 8,963 views today |
|
|
|