আগস্ট ২৭, ২০২০
শ্যামনগরে কথিত কাজী নুরুল আমিন আটক
শ্যামনগর অফিস : শ্যামনগরের কৈখালী এলাকার এক কথিত কাজী নুরুল আমিন (৩৬) পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। আটককৃত কাজী জয়াখালী গ্রামের সোহরাব আলী গাজীর পুত্র। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ২ টার দিকে শ্যামনগর থানার এস,আই রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করে। কৈখালী ইউনিয়নের সরকার অনুমোদিত নিকাহ রেজিস্ট্রার এম, মিজানুর রহমান (৫০) তার বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় প্রতারণা মূলক মামলা করে। মামলা নং-৩৭, মামলা সূত্রে প্রকাশ, নুরুল আমিন ভুয়া নিকাহ রেজিস্ট্রার সেজে কৈখালী, ভেটখালী রমজাননগর সহ বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষদের ভুল বুঝিয়ে ভুয়া রেজিস্ট্রার কাবিন নামা, তালাক ও বিবাহ সম্পন্ন করে। যার ফলে সরকারী রাজস্ব অর্থ ফাঁকি ও বিঘিœত হয়। সে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কাবিনে মোহরানা কম বেশি করে বর ও কণে পক্ষদের ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছিল। নুরুল আমিন বিভিন্ন সময়ে বিবাহ বিচ্ছেদের অবৈধ তালাক রেজিস্ট্রি করে এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডের বিবাহ রেজিস্ট্রার শেখ সাইদুজ্জামানের নামীয় সিল ও সহি ব্যবহার করে। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নে প্রাক্তন নিকাহ রেজিস্ট্রার মরহুম মুজিবুর রহমানের নামীয় সিল ও সহি ব্যবহার করে নুরুল আমিন। নুরুল আমিন ভুয়া রেজিস্ট্রার সেজে অবৈধ পন্থায় বিবাহের কাজ করায় মিজানুর রহমানের অনেক আর্থিক ক্ষতি হয়। নুরুল আমিন একদিকে সরকারী কর ফাঁকি দিয়ে প্রতারণা করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করে। তার এহেন অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় মিজানুর রহমানকে ভয় ভীতি ও নানা বিধ হুমকি দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় প্রতারণা করা, প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে বিবাহ সংক্রান্ত দলিল জাল করণ, বিবাহ সংক্রান্ত জাল দলিল খাঁটি হিসাবে ব্যবহার এবং ভয় ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে মামলায় ভুয়া কাজী নুরুল আমিনকে আটক করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সে শ্যামনগর থানায় হেফাজতে ছিল। মামলার প্রেক্ষিতে নুরুল আমিনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রবিউল ইসলাম। 8,957,644 total views, 13,394 views today |
|
|
|