নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মো¯ত্মফা কামাল আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট গ্রামের ক্ষতিগ্র¯ত্ম রিং বাঁধ ও শ্রীউলা ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। শুক্রবার (২১ আগস্ট) বিকালে তিনি ক্ষতিগ্র¯ত্ম এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘রিং বাঁধ গুলি মেরামত করতে কোথায় কি লাগবে আপনাদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে আমাকে জানালে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা জনভোগাšিত্ম লাঘবে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখব। সাগরে নিন্মচাপের প্রভাবে টানা বর্ষণ, অমাবস্যা গোন ও পূবালী ঝড়ো বাতাসের ফলে নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট গ্রামের রিং বাঁধ, শ্রীউলা ইউনিয়নের বিভিন্ন রিং বাঁধ ও প্রতাপনগরের সকল রিং বাঁধ ও বেড়ি বাঁধ ব্যাপক ক্ষতিগ্র¯ত্ম হয়ে পড়েছে। নিন্মচাপের কারণে টানা বর্ষণে মাটির বাঁধগুলো ভেঙে ও ধসে যাচ্ছে। দয়ারঘাট, হাজরাখালী ও প্রতাপনগরের বাঁধগুলি টেঁকসই করে নির্মাণ করার দায়িত্ব পেয়েছেন আমাদের সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
তবে শীত মৌসুমে ছাড়া বাঁধগুলি মেরামত সম্ভব নয় বিধায় আর দুই মাস আমাদের এসব রিং বাঁধগুলি টিকিয়ে রাখতে হবে। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড, এণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছি। সেনাবাহিনীসহ কন্ট্রাক্টরের কাজ শুরু না করা পর্যšত্ম বাঁধগুলি মেরামত করতে আমরা সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাব। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সদর ইউপি চেয়ারম্যানকে দয়ারঘাট রিং বাঁধটি যেকোনো মূল্যে টিকিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন।
ক্ষতিগ্র¯ত্ম দয়ারঘাট বাঁধ এলাকা পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মো¯ত্মাকিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সমীর রায়সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। দয়ারঘাট পরিদর্শন শেষে তিনি শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় মৎস্য সেট এলাকায় গিয়ে প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্র¯ত্ম মানুষের খোঁজ খবর নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বদা তাদের পাশে থাকবেন বলে আশ্ব¯ত্ম করেন।
এদিকে বৃহস্পতিবারের মত শুক্রবারের (২১ আগস্ট) জোয়ারেও আশাশুনি সদরের দয়ারঘাট মাছের সেটে, আব্দুস সবুরের বাড়ির সামনে, স্বপন মুহুরির বাড়ির পিছনে, মনিন্দ্র সানার বাড়ির পিছনে ও কাই কাউচের বাড়ির সামনে দিয়ে ছাপিয়ে এবং ধস নেমে ভেতরে পানি ঢুকতে শুরু করে।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলনের নিয়োগ করা শ্রমিকরা এখানে কাজ করছেন। কিন্তু জোয়ারের তীব্রতা এত বেশি যে রিং বাঁধের প্রায় সর্বত্র ফাটল দেখা দিয়েছে। এসময় শ্রমিকরা বাঁধ টেকাতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে। ভাটা নামার পরে শ্রমিকরা আবার কাজ শুরু করে সন্ধ্যা পর্যšত্ম কাজ করলেও পিচের রা¯ত্মার উপর দিয়ে নির্মিত সরু মাটির রিং বাঁধটির প্রায় সব খানেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও গোলাম রাব্বি হাসান জানান- উপজেলা সদরের দয়ারঘাট গ্রামের রিং বাঁধ মেরামতের জন্য আমরা ২০০ জিও ব্যাগ ও ৫০০ পলিথিনের ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান মিলনের নেতৃত্বে সেখানে কাজ চলছে। কিন্তু নিন্মচাপের বিরুপ প্রভাবে ঠান্ডা ঝড়ো হাওয়ায় শ্রমিকদের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। শুক্রবার নতুন করে প্রতাপনগরের কোথাও না ভাঙলেও অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধিতে সেখানের পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
আশাশুনি সদরের ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘রিং বাঁধটি মেরামতের জন্য শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছি। তারা দুটি সিফ্টে কাজ করছে। ডিসি স্যারের নির্দেশ মোতাবেক রিং বাঁধটি টিকিয়ে রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে প্রতিকুল আবহাওয়ায় কিছুটা সমস্যা হলেও জনভোগাšিত্ম কমাতে আমরা কাজ করে যাব। তিনি টেঁকসই মজবুত বাঁধটির কাজ অতিদ্রæত যাতে শুরু হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হ¯ত্মক্ষেপ কামনা করেন’।