প্রেস বিজ্ঞপ্তি: কলারোয়ার জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যানসহ ওয়ার্ড মেম্বারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ওই দুই জনপ্রতিনিধিসহ ৬ ছয় ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করে। ঘটনার এক মাস দুই দিন পর বিচার চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলা তুলে নিতে খুন জখমের হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন কলারোয়া উপজেলার মানিকনগর গ্রামের আব্দুর রশিদ গাজীর কন্যা মামলার বাদি বেবি আক্তার (৩২)।
তিনি বলেন, গত ১৭ জুলাই‘২০ রাত্র ৮টার দিকে ক্ষেত্রপাড়া এলাকার মৃত. আজিজ সরদারের (মাস্টার) পুত্র জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান সামছুদ্দীন আল মাছুদ বাবু ও তার সহযোগী একই এলাকার আজিবর গাজীর পুত্র ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম, বাবু সানার পুত্র আবু তালেব, কাদের গাজীর পুত্র মোস্তাজুল, বিলাত গাজীর পুত্র শাহিনুর ও মানিহার গাজীর পুত্র আলম গাজী অস্ত্র নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। বাবু বাড়িতে প্রবেশ করে আমার পিতার নাম ধরে ডাকাডাকি করতে থাকলে আমি বারান্দার দরজা খুলে দিলে শামছুদ্দীন আল মাছুদ বাবু ধর্ষণের উদ্দেশ্যে সালোয়ার কামিজ ছিড়ে ফেলে। এসময় আমার ডাক চিৎকারে বোন ইয়াসমিন ছুটে আসলে বাবুর ডাকে আমিরুল ইসলাম ইয়াসমিনকেও ধর্ষনের চেষ্টা করে। তারা আমার বোন জ্যোতি ও ইয়াসমিনকে মারপিট করে। এসময় তারা ৪০হাজার টাকা মূল্যের অপ্পো মোবাইল সেট ও ৬৫ হাজার মূল্যের সোনার চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং এবিষয়ে মামলা করলে খুন জখমসহ মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দেয়।
আমি একজন নির্যাতন অসহায় নারী হিসাবে ওই লম্পটের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রভাত সাতক্ষীরাকে ইউপি মেম্বার আমিরুল ইসলাম বলেন, মিথ্যা এই ঘটনাটি তার গ্রামের। একটি মারামারির ঘটনার সালিশের রায় বেবীর পক্ষে না যাওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়। কলারোয়া থানায় বসে দুই পুলিশ অফিসারের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক হয়। বেবীর ধারনা চেয়রম্যানের কান কথায় পুলিশ সালিশের রায় বেবীর বিপক্ষে দিয়েছে। অথচ মারামারি ঘটনার সময় চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
ইউপি চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আল মাসুদ বাবু বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কথায় বেবী তার সম্মানহানি করার জন্য এহেন ঘটনা ঘটিয়েছে। দায়ের করা মিথ্যা মামলাটি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। সরেজমিনে এলাকায় যেয়ে তদন্ত করলে সাজানো এই মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হবে। তিনি বিষ্ময় প্রকাশ করে বলেন, তদন্তে দোষী প্রমানিত হওয়ার আগেই প্রতিপক্ষরা আমাকে দোষী হিসাবে বিচার করে ফেলেছে। যা অপরাধের শামিল।
মামলা তুলে নিতে হুমকির প্রতিবাদে এক নারীর সংবাদ সম্মেলন
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/