তালা প্রতিনিধি : তালায় নাসিমা বেগম (৩৮) নামে এক মহিলাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তালা থানা পুলিশ সাত জনকে আটক করেছে। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকালে তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের মহান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে তালা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাট চুরির অভিযোগ এনে গত (২৩ আগস্ট) রবিবার সকালে নিহতের স্বামী নাজের শেখকে মারপিট করে মনিরুল মোড়ল গংরা। এ ঘটনার জের ধরে নাসিমা প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। নিহত নাসিমা বেগম মহান্দী গ্রামের নাজের শেখ’র স্ত্রী। আর মনিরুল ইসলাম একই গ্রামের করিম মোড়লের ছেলে। নিহতের স্বামী নাজের শেখ জানান, সোমবার (২৪ আগস্ট)) বিকালে তার স্ত্রী মোড়ল পাড়ায় খাওয়ার পানি আনতে যায়। সেখানে মনিরুল গংদের কাছে স্বামীকে মারার কারণ জানতে চাইলে নাসিমার সাথে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে মনিরুল গংরা নাসিমাকে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিটের কারণে নাসিমা বেগমর মাথা ফেটে রক্তপাত হয়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে নাসিমার স্বামীসহ এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে মনিরুল গংরা পালিয়ে যায়। গুরত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে স্থানীয় গ্রাম্য ডা. শহিদুলকে দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। পরে অবস্থা গুরুতর হলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে গেলে মনিরুল গংদের বাধার মুখে আহত নাসিমাকে বাড়িতেই ফিরিয়ে আনা হয়। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে নাসিমার বেগমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। তালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মেহেদী রাসেল জানান, ‘নিহতের মাথায় ক্ষতসহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত জনকে আটক করা হয়েছে’।