কলারোয়া প্রতিনিধি: কলারোয়ায় শিশু ও জেনারেল হাসপাতালে ডক্টর ইসমাঈল হোসেন এক কিশোরীর পিত্ত থলিতে ভুল অপারেশন করেছেন।
মেয়েটার নাম হাজিরা খাতুন( ১৮)। মেয়েটা কলারোয়া উপজেলার কাজীরহাট এর চিথলা গ্রাম এর জামাল সরদার এর মেয়ে।অনেক দিন ধরে অসুস্থ থাকায় সে ব্যথা অবস্থায় হসপিটালে আসার পর ডক্টর এক চুক্তি তে ফেলে। যার শিকার হাজিরা। শুধু রক্ত পরীক্ষা ও ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেছে। বাট রোগীর বক্তব্য যে তাদের কোন রিপোর্ট দেখানো হয়নি। এছাড়া কোন পরীক্ষা করা হয়নি। কোন রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই ডক্টর অমানবিক ভাবে অপারেশন করা হয়েছে। সেখানে রোগী ক্লিনিক এর বেড এ ব্যথায় ছটফট করছে। মেয়েটা সাংবাদিক দের দেখে হা-ও-মাও করে কেঁদে ফেলল এবং সাংবাদিক দের মাধ্যমে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করল। মেয়েটার বক্তব্য, আমার এই বয়সে আমার এই ক্ষতি করেছে কেনো? ডক্টর কোনে রিপোর্ট না করিয়ে কেনো অপারেশন করল? আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি। আমার দায়িত্ব এখন কে নেবে? আমার স্বামী এখন আমাকে নিতে অস্বীকার করছে। এরকম তো আরও অনেকের সাথে হতে পারে। আমি এর বিচার চাই। মেয়েটা পারিবারিকভাবে অসচ্ছল, তারা মেয়েটার কাছে একটা টাকার পরিমাণ চাই।
এ বিষয়ে ডক্টর ইসমাঈল হোসেন বলেন, আমি রোগীকে বলেছিলাম ল্যাব / কম্পিউটার এ বা হাতে কাটা করাতে। রোগীর অভিভাবক দের সাথে কথা বলে তিনি হাতে কাটলেন এবং কোন পিত্ততে পাথর পাননি। তিনি কেনো রিপোর্ট না করে মেয়েটার এত বড় অপারেশন করলেন জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, রোগীর তো হাটা চলা খাওয়ায় কোন সমস্যা হবে না। এ বিষয়ে মেয়েটার অভিভাবক মেয়েটার ভাই বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় এর নিকট একটা অভিযোগ দায়ের করেছে। লিখিত অভিযোগএর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমিজেরিন কান্তা বলেন, আমি এখন ও লিখিত অভিযোগ পায়নি। পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।