কাদের মহিউদ্দীন: দেবহাটা উপজেলার প্রানকেন্দ্র পারুলিয়া বাজার। স্বাধীনতার পর থেকে বাজারটিতে অনেক বড় বড় ও নামি দামী ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় দুর-দুরান্ত থেকে বহু মানুষ তাদের পছন্দের সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় করতে প্রতিনিয়ত এই বাজারে আসেন। ঐতিহ্যবাহি বাজারটিতে রকমারী প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ক্রয়- বিক্রয় পরিলক্ষিত হয়। এখানে রয়েছে জেলার বৃহত্তম মৎস্য আড়ৎ, কাঁকড়া বিপনী, কাসারী পট্টি, বিভিন্ন শপিং মল, কাঁচা বাজার ও হরেক রকমের পণ্যের দোকান। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতে সরব থাকে এই বাজারটি। কিন্তু মরনব্যাধী করোনায় পাল্টে যায় বাজারটির সকল দৃশ্যপট। দীর্ঘদিন বাজারটি বন্ধ থাকায় অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক নানামুখী সমস্যায় ভুকছেন।
বর্তমানে লকডাউন শিতীল হলে ব্যবসা – প্রতিষ্ঠানের মালিকরা পড়ে নানামুখী সমস্যায়। যারমধ্যে রয়েছে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের হুমকী, দোকান ভাড়া, পুজি বিনিয়োগকারী ব্যাংক ও এনজিওর কঠিন তাগেদ্ াএদিকে প্রতিষ্ঠানে নতুন করে কেনা-বেঁচা না থাকায় লগ্নী ভাঙিয়ে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে। যার ফলে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধের উপক্রম হয়েছে। আম্পানের তান্ডবে সবজি বাজারে আগুন। খেটে খাওয়া মানুষের ক্রয় ক্ষমতায় বাহিরে এ সবজি। করোনার প্রার্দুভাবে লকডাউনে বাজারটি বন্ধ থাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অসংখ্যা কর্মচারী ছাটাই হয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে। এদিকে বর্তমানে পারুলিয়া সখিপুর মিলে এক হাজারের অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।
প্রতিষ্ঠান গুলো কেমন চলছে এ নিয়ে পারুলিয়া বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের মহিউদ্দীনের কাছে জানতে চাহিলে, তিনি বলেন, করোনায় পারুলিয়া সখিপুর বাজারের অধিকাংশ দোকানে বেঁচাকেনা একাবারেই নেই বললেই চলে। যার ফলে লগ্নীকৃত অর্থ খুঁয়ে অধিকাংশ ব্যবসার প্রতিষ্ঠান বন্ধেরমুখে প্রায়। এমতাবস্থায় ব্যাংক ও এনজিও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলি যদি স্বল্প লাভে ব্যবসায়ীদের নতুনভাবে মূলধনের ব্যবস্থা করেন তাহলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি প্রান চাঞ্চলতা ফিরে পাবে বলে মনে করি। সেই সাথে সাথে ছাটাইকৃত কর্মচারীরা স্ব স্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বহাল রাখার দাবি জানান। তাই অতি দ্রæত বাজারটির ঐতিহ্য বাজায় রাখতে সংশ্লিষ্ঠদের সার্বিক সহায়তা প্রত্যাশা করেন ব্যবসায়ী মহল।