আগস্ট ২৬, ২০২০
আশাশুনির চিংড়ি সম্পদ ধ্বংসের পথে দ্রুত টেঁকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি চিংড়ি চাষিদের
সমীর রায়, নিজস্ব প্রতিনিধি : আম্পানের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত না হওয়ায় আশাশুনির চিংড়ি সম্পদ ধ্বংসের পথে। আম্পানে উপজেলার খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদের ২৪ কি.মি. বেড়ি-বাঁধ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে শত-ভাগ জলমগ্ন হয়ে পড়ে প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়ন। এছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশাশুনি সদর ইউনিয়নের। উপজেলায় ১৭ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে চিংড়ি চাষ হয়ে থাকে। যার প্রায় ৮৫ ভাগ চাষ হয় প্রতাপনগর, শ্রীউলা ইউনিয়ন ও আশাশুনি সদরে। প্রতাপনগর ও শ্রীউলা ইউনিয়নে জোয়ারভাটা চলতে থাকলেও আশাশুনি সদর ইউনিয়ন ছিল প্রায় এর প্রভাবমুক্ত। কিন্তু গত কয়েক দিনের অতি-বর্ষণ ও গত অমাবস্যা গোনে নিন্মচাপের প্রভাবে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শুক্রবার শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড়ের গ্রামের রাস্তা ছাপিয়ে আশাশুনি সদরের খাসেরাবাদ, কমলাপুর, ডাসেরআটি, ঠাকুরাবাদসহ প্রায় ১৪টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়। উপজেলা মৎস্য অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ‘প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনি ইউনিয়নে চিংড়ি ঘেরের প্রায় শত-ভাগ ক্ষতি হয়েছে। এ এলাকার মানুষের আয়ের প্রধান উৎস চিংড়ি চাষ। কিন্তু এখন নদীর জোয়ার ভাটায় এ বছর আর চিংড়ি মাছে কোন আয়ের কোন আশা নেই বললেই চলে। ছোট বড় সব চিংড়ি চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোটি কোটি টাকার লোকসান হয়েছে এসব মৎস্য চাষিদের’। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খান জানান, ‘আম্পানে ২৪ কি.মি. বেড়ি-বাঁধ, ৩০ কি.মি. কাঁচা রাস্তা ও প্রায় ২০ কি.মি. পাকা সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। জোয়ারভাটা চলতে থাকায় এরমধ্যে প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনির রাস্তাগুলো আবার নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’। কৃষি অফিসার রাজিবুল হাসান জানান, ‘অতি বর্ষণে উপজেলার ৬ হেক্টর জমির সবজি পচে বিনষ্ট হয়েছে। প্রতাপনগর, শ্রীউলা ও আশাশুনিতে লোনা পানির জোয়ারভাটা চলতে থাকায় এ তিনটি ইউনিয়নে সবজি চাষ ও বন্ধ হয়ে গেছে’। 8,957,442 total views, 13,192 views today |
|
|
|