Site icon suprovatsatkhira.com

স্বেচ্ছায় ৫০ টি চেক ও স্ট্যাম্প স্বাক্ষর করে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন রেডিয়েন্ট হ্যাচারির সফিকুর রহমান

শ্যামনগর অফিস : নন-জুডিসিয়্যাল স্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গীকার ও স্বেচ্ছায় ৫০টি ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করে পাওনাদারদের কাছে ক্ষমা চেয়ে সময় প্রার্থনা করেছেন শ্যামনগরের নওয়াবেঁকী সংলগ্ন রেডিয়েন্ট শ্রীম্প কালচার হ্যাচারি অ্যান্ড নার্সারির স্বত্বাধিকারী মো. সফিকুর রহমান চৌধুরী। শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে উত্তর আটুলিয়ায় রেডিয়েন্ট শ্রীম্প কালচার হ্যাচারিতে মো. সফিকুর রহমান চৌধুরী কয়েক শত জমির মালিকদের উপস্থিতিতে তিনি বিগত ২০১৮ সাল থেকে হ্যাচারির শত শত বিঘা জমির হারীর টাকা দিতে ব্যর্থতা স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, তিনি দ্রæত পুনরায় মৎস্য চাষ শুরু করবেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বকেয়া ৬০ লক্ষ টাকা জমির হারীর টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হলে জমির মালিকগণ স্ব স্ব জমি ভোগ দখলে গেলে তার কোন আপত্তি থাকবে না বা আপত্তি করলে আইন আমলে আসবে না মর্মে স্ট্যাম্পে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীতে বিড়ালাক্ষীতে রেডিয়েন্ট বাগদা গলদা হ্যাচারি অ্যান্ড নার্সারিতে মো. সফিকুর রহমান চৌধুরী গিয়ে কয়েক কোটি টাকা পাওনাদারদের রোষানলে পড়েন। কয়েক শত পাওনাদার অধীর অপেক্ষা করে ও বিনা টাকায় চলে আসেন।

এ সময়ও মো. সফিকুর রহমান চৌধুরী সবার টাকা দ্রæত দেবেন বলে প্রতিশ্রæতি দেন ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে এবং তাদেরকে আশ্বাস দিয়ে স্বেচ্ছায় ৫০টি ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করে দেন। এ সময় আটুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ বাবু, ইউপি সদস্যগণ, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং নিরাপত্তার জন্য শ্যামনগর থানা পুলিশ কর্মকর্তাগণ, সুশীল সমাজ ও কয়েক শত জমির মালিক ও টাকা পাওনাদারগণ উপস্থিত ছিলেন। মো. সফিকুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠায় এলাকায় এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় তিনি সকলের টাকা পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করে পুনরায় তার ব্যবসায় দ্রæত আত্মনিয়োগ করবেন বলে জানান।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version