নিজস্ব প্রতিনিধি : শিশু পাচার প্রতিরোধ ও সুরক্ষা, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা নিরসন এবং প্রতিবন্ধীদের ঝুঁকিসমূহ নিরুপনে প্রতিবন্ধী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সাথে জেলা পর্যায়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইনসিডিন বাংলাদেশের আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান। সভায় সুইড খাতিমুন্নেসা হানিফ লস্কর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাংবাদিক এম রফিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি আব্দুল হাই সিদ্দিকী লাইট হাউসের ডিআইসি ম্যানেজার সনচু মিয়া, শ্যামনগর মুক্তিযোদ্ধা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের দিপন মাঝি, দরগাপুর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলের শেখ তাজুল ইসলাম ও আমিনুর রহমান প্রমুখ।
মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ইনসিডিন বাংলাদেশ সাতক্ষীরার প্রতিনিধি মো. সাকিবুর রহমান। এতে জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক এবং সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা বলেন, পাচারকারীরা প্রতিবন্ধীদের টার্গেট করে বিভিন্ন দেশে তাদের পাচার করে দেয়। তাদের সেখানে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিসহ অমানবিক কার্যক্রম করানো হয়। প্রতিবন্ধীদের অভিভাবকদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাদের পাচার করা হয়। কিন্তু প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। তাদের মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে তারা আমাদের সম্পদে পরিণত হবে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ৪হাজার প্রতিবন্ধী নারী শিশু পাচার হয়েছে।
শিক্ষার অভাব অসচেতনতা, দারিদ্র্যতা, চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের পাচার করা হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি সম্প্রতি ফেইসবুকে মিথ্যা তথ্য নিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েদের পাচার করে হচ্ছে। প্রতিরোধ করতে হলে সবার আগে বাল্য বিবাহ বন্ধ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দিকে অভিভাবক এবং প্রশাসনকে নজর দিতে হবে। বাল্য বিবাহ সম্পর্কে প্রতিটি ছেলে এবং মেয়ের পাশাপাশি বাবা-মাকেও সচেতন করতে হবে এবং সীমান্ত এলাকাগুলোতে সভা এবং উঠান বৈঠকের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করলে শিশু, মানব এবং প্রতিবন্ধী পাচার দিন দিন কমে আসবে।