আগস্ট ২০, ২০২০
দেবাহাটায় করোনায় ঘের ব্যবসায় ধস, ক্ষতির মুখে মৎস্য ঘের মালিকরা
কাদের মহিউদ্দীন : সাতক্ষীরা জেলার চিংড়ি বাংলাদেশের সাদা-সোনা নামে খ্যাত। চিংড়ি মাছ থেকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের অন্যতম জেলা এই সাতক্ষীরা। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য জেলায় পাটকেলঘাটার কপোতাক্ষ, দেবহাটার সাপমারাখাল, আশাশুনির মরিচ্চাপ নদী পুনঃ খনন কালীন সময়ে দেবহাটা উপজেলার চিংড়ি মৎস্য ঘেরে পানি সরবরাহ সম্ভব হয়নি। তুলনামূলক ভাবে জমির হারি বৃদ্ধি, ব্যাংক প্রতিষ্ঠানে ঋণ প্রদানের গড়িমসি, একদিকে বাগদা পোনার সংকট, অন্যদিকে বছরের তুলনায় রেণু পোনার দাম চড়া এবং করোনার প্রাদুর্ভাবে লকডাউন থাকায় পরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধের কারণে বাজারজাতকৃত চিংড়ির প্রকৃত মূল্য ঘের মালিকরা পায়নি। যার ফলে বড় অঙ্কের অর্থ থেকে বঞ্চিত হয়েছে জেলার চিংড়ি ব্যবসায়ীরা। অপরদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ি বেচা-কেনা না থাকায় চরম ক্ষতির মুখে পড়ে ঘের ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে দেবহাটা উপজেলার চিংড়ি ও ব্যবসায়ীদের ধস পরিলক্ষিত হয়। এদিকে দেবহাটা উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, এ মৌসুমে দেবহাটা উপজেলায় ৮ হাজার ৮শ’ ৯৩ একর জমিতে চিংড়ি মাছের চাষ করা হয়। এইসব জমিতে ৩ হাজার ৩শ’ ৬০ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদিত হয় এবং ৩ হাজার ৬শ’ মেট্রিক টন সাদা মাছ উৎপাদিত হয়। এ কাজের জন্য হাজার হাজার মানুষ কর্মকরে জীবিকা নির্বাহ করে। এবার আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় দেবহাটা উপজেলার ১৫% খামারী উৎপাদন থেকে বিরত ছিল। দেবহাটার চিংড়ি চাষি ও ব্যবসায় ধস সম্পর্কে ঘের ব্যবসায়ী, পারুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পারুলিয়া বাজার কমিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দেবাহাটার সর্বত্রই পোনা সংকট। চড়াদামে রেণু পোনা কিনে ঘেরে ছাড়া হচ্ছে তা বড় হচ্ছে না। জমির মালিকদের জমির হারী বৃদ্ধি এবং পানির সংকটের জন্য এবার ৯০ ভাগ ঘের ভেড়ীতে লোকসান হবে বলে আমি মনে করি’। 7,963,321 total views, 6,546 views today |
|
|
|