Site icon suprovatsatkhira.com

জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা মামলায় বাদীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরার কলারোয়ার জয়নগর ইউপি চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আল মাসুদ বাবুর বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষন চেষ্টা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, ১ নং জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়াড’রমেম্বর আমিরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার মানিকনগর গ্রামের আজিবর রহমান গাজীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য বলেন, সালিশের রায় বিপক্ষে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার বির্তকিত নারী বেবী আক্তার (৩৪) ইউপি চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড মেম্বরসহ ৫ জনের নামে সাতক্ষীরা আদালতে মিথ্যা ধর্ষন চেষ্টার মামলা দায়ের করেছে।
মামলার পিছনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের পরোচনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত ১৭ জুন বিকেলে উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামের আব্দুর রশিদ গাজী প্রতিবেশি আবু তালেবকে ভৎর্সনা করে। এতে আবু তালেব অপমান বোধ করায় আব্দুর রশিদের সাথে মারামারি করে। বিষয়টি আমি দুই পক্ষকে ডেকে মিমাংসা করে দেই। এর ২০ মিনিট পর রশিদ গাজী তার স্ত্রী ও মেয়েরা মানিকনগর স্কুলের সামনে আমার দোকানের কাছে এসে একই গ্রামের কাদের ও তার ছেলে মোস্তাজুলকে মারপিট করে আহত করে। এঘটনায় আব্দুর রশিদ গাজীর মেয়ে ফাতেমা খাতুনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে কলারোয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। অন্যদিকে, আবু তালেব আব্দুর রশিদ গাজী, তার মেয়ে বেবী আক্তারসহ ৫ জনের নামে থানায় পাল্টা অভিযোগ অভিযোগ দেয়।
তিনি বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলারোয়া থানার এস আই রেজাউল ইসলাম ও এ এস আই তরুণ শালিস করে বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। শালিসের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, কলারোয়া থানার ওসি (তদন্ত) বোরহান উদ্দিন। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান, জয়নগর ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতিসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বেবী আক্তারের দাবি ছিলো তার প্রতিপক্ষদের নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে দিতে হবে। সালিশের মিমাংসা বেবীর পক্ষে না যাওয়ায় সে (বেবী) সন্দেহ করে চেয়ারম্যানের কারনে পুলিশের মাধ্যমে সে ৫০ হাজার টাকা আদায় করতে পারেনি। আপোষ মিমাংসা নিজেদের পক্ষে না যাওয়ায় বেমী আক্তার সালিশ অমান্য করে। এলাকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা বিষয়টি জেনে বেবী আক্তারকে টাকা দিয়ে ঘটনার এক মাস ১৯ দিন পর আব্দুর গাজীর মেয়ে এলাকার বিতর্কিত নারী বেবী আক্তার বাদী হয়ে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় গত ১৭ জুন মারামারির দিন সন্ধ্যায় আমি ও চেয়ারম্যানসহ ৬ জন বেবী আক্তারকে ধর্ষন করার চেষ্টাসহ খুন জখমের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ওই দিন ইউপি চেয়ারম্যান সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এমন কি ঘটনার এক মাস আগে থেকে আজ পর্যন্ত কোন কারনে চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আল মাসুদ বাবু মানিকনগর গ্রামে যাননি।
সংবাদ সম্মেলনে জয়নগর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শেখ ফিরোজ আহম্মেদসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী বেবী আক্তারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
এবিষয়ে মোবাইল ফোনে বেবী আক্তারের সাথে যোগযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য না করলেও তার দায়ের করা মামলার স্বাক্ষী ফতেমা খাতুন ও ইয়াছিন আলী জানায়, ১৭ জুন মানিকনগর স্কুল মোড়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। তবে চেয়ারম্যান মেম্বারসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে যে ধর্ষন চেষ্টার মামলা হয়েছে সে বিষয়ে তাদের জানা নেই।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version