কৃষ্ণনগর (কালিগঞ্জ) প্রতিনিধি : কালিগঞ্জে স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় স্বামী হলেন আসামী। উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের স্ত্রী স্বামীর নামে এ মামলাটি দায়ের করে। আদালতে দায়ের করা মামলাটি মিথ্যা ও সাজানো বলে দাবি করেছে স্বামী ও তার কণ্যা সন্তান। এলাকাবাসির দাবি স্বামীকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রঘুনাথপুর গ্রামের আজিজ সরদারের কন্যা রোজিনা পারভীন ওরফে ময়নার সাথে একই গ্রামের কুদ্দুস সরদারের পুত্র মহিউদ্দীনের বিগত ১৮ বছর আগে বিবাহ সম্পন্ন হয়। সেখান থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘর সংসার করে তাদের কোল জুড়ে ২টি সন্তান আসে। বর্তমানে কন্যা সন্তান তন্নিকা(১৫) দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ও পুত্র তৌফিক(০৬) প্রথম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। সংসারের খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় জীবিকা নির্বাহের জন্য মহিউদ্দীন মোড়ল রাজধানী ঢাকায় রিকশা চালাতে যায়।
স্বামীর অবর্তমানে ময়না প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বাহিরে বের হয়ে প্রয়োজন মেটাতে তার আচরণ পরিবর্তনের কিছুটা দৃশ্য লক্ষ করে তার কন্যা ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। স্বামী মহিউদ্দীন মাঝে মাঝে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে স্ত্রী রোজিনা পারভীন তার সাথে বিরূপ আচরণ শুরু করে দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় ০৮ আগস্ট রাত আনুমানিক ১.০০ টার দিকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রী রোজিনা স্বামী মহিউদ্দীনের পায়ের উরুতে বেøড দিয়ে কেটে জখম করে। পরে মহিউদ্দীনের চিৎকারে মহিউদ্দীনের পিতা-মাতা ও কন্যা তন্নিকা এসে তার অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা তার উরুতে ৮টি সেলাই দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছে বলে জানিয়েছে তার কন্যা।
বর্তমানে মহিউদ্দীন সেখানে চিকিৎসারত আছেন। আহত মহিউদ্দীন জানায়, ‘তার স্ত্রী রোজিনা পারভীন কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে দুই দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গিয়ে সংসারের যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যায়’। তিনি আরও জানান, ‘নিজের অপরাধকে ঢাকা দিতে আমার স্ত্রী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে সাতক্ষীরা আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে একটি মামলা করেছে। কোর্ট মামলার তদন্তের জন্য কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যানের উপর দায়িত্ব দিয়েছে’।
মা-বাবার এরুপ ঘটনার ব্যাপারে মেয়ে তন্নিকা জানায়, ‘আমার মা মিথ্যা অভিযোগ এনে আমার বাবাকে হয়রানি করার জন্য এরুপ মিথ্যা মামলার নাটক সাজিয়েছে। এ ঘটনায় আমি নিজে আমার মায়ের বিরুদ্ধে কালিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ করেছি’।
এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর ইউপি চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুন লাকি জানান, ‘আমি ঘটনার বিষয়টি শুনেছি। কোর্ট আমাকে তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছে। তদন্ত করে কোর্টে রিপোর্ট পাঠানো হবে।