হাবিবুর রহমান, কেঁড়াগাছি (কলারোয়া) প্রতিনিধি : আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে কলারোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে ইতিমধ্যে নির্বাচনি হাওয়া বইতে শুরু করেছে। নির্বাচনি আলোচনায় জমজমাট চায়ের দোকানগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চা বিক্রেতারা। সকাল থেকেই বাড়ছে চায়ের দোকানে ভিড় থাকছে রাত পর্যন্ত। এরই মধ্যে চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেই থাকছে ইউপি নির্বাচন আর সম্ভাব্য প্রতিনিধিদের সম্পর্কে আলোচনা সমালোচনা। চায়ের দোকানটায় যেন এখন ভোটারদের পার্লামেন্ট হয়ে উঠেছে। হাটে বাজারে ও মোড়ে মোড়ে এসব চায়ের দোকানে স্থানীয় ভোটারদের আলোচনার মধ্যে থাকছে জনপ্রতিনিধি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের কাছে খেটে খাওয়া মানুষের চাওয়া পাওয়া কি? অনেকেই আবার বিশ্লেষণ করছেন, দলীয় মনোনয়ন কে বা কারা পেতে পারে।
তবে চায়ের দোকানের আলোচনায় এবার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে ছয় জনের মতো চেয়ারম্যান প্রার্থী ও প্রায় অর্ধশত মেম্বার প্রার্থীদের নাম শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকে নির্বাচনের জন্য নড়েচড়ে বসেছেন। অনেকে শুরু করেছেন ভোটারদের সাথে মত বিনিময়। খোঁজ খবর নিচ্ছেন সাধারণ ভোটারদের। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আচার-অনুষ্ঠানে সম্ভাব্য প্রার্থীদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মত। কেঁড়াগাছি বাজারে চায়ের দোকানে নির্বাচনি আলোচনায় ব্যস্ত এক বৃদ্ধা জানান, ‘আগে আমরা ভোট দিয়েছি সে সময় কোনো হানাহানি মারামারি ছিল না। এখন যেন নির্বাচন আসলেই হানাহানি মারামারি হয়। এ রকম হলে আমি ভোট দিতে যাব না। আর যদি কোনো ধরনের ঝামেলা না হয় তাহলে ভোট দিতে যাব। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা আর কী’। আসন্ন ইউপি নির্বাচন সম্পর্কে বালিয়াডাংগা বাজারের এক চায়ের দোকানদার জানান, ‘সামনে আমাদের ইউনিয়ন নির্বাচন তাই মানুষের উপস্থিতি বেশি। এজন্য চা বিক্রি হচ্ছে অনেক বেশি’।
কথা হয় কিছু নবীন ভোটারদের সাথে। তারা জানান, ‘যখন ছোট ছিলাম তখন নির্বাচন এলে কত আনন্দ হত। ভোটের দিন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক রকমের দোকান বসত। তখনতো আমরা ভোট দিতে পারতাম না। তবে আমরা চাই স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রকৃত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই নেতৃত্ব দিক আমরা এটাই প্রত্যাশা করি’।