আগস্ট ২৫, ২০২০
আশাশুনিতে জলমগ্ন ৩৭ গ্রাম পরিদর্শন শেষে উপজেলা চেয়ারম্যানের ত্রাণ বিতরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি : পানিতে নিমজ্জিত আশাশুনির প্রতাপনগর ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ৩৭ গ্রাম পরিদর্শন শেষে ১ হাজার ৫শ’ বানভাসি মানুষের মাঝে চাউল বিতরণ করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মোস্তাকিম। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে দিনভর তিনি প্রতাপনগরের রুইয়ারবিল, চাকলা, কুড়িকাহনিয়া, সুভদ্রাকাটি, কল্যানপুর, দীঘলারআইটসহ প্রায় ২৫ গ্রাম ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের বলাবাড়িয়া, ঠাকুরাবাদ, খাসেরবাদ, কমলাপুর, ডাসেরআটিসহ প্রায় ১২টি জলমগ্ন গ্রাম পরিদর্শন করেন। বানভাসি মানুষের খোঁজ খবর নিয়ে তিনি বলেন, টেঁকসই বেড়ি-বাঁধ নির্মাণে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রæতিবদ্ধ। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় প্রশাসন সে লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে দিয়েছে। মনে সাহস রাখুন। আমার সরকার রাক্ষুসে পদ্মার বুকে যদি সেতু নির্মাণ করতে পারেন তবে আপনাদের জানমাল রক্ষায় উপক‚লীয় অঞ্চলে টেঁকসই বেড়ি-বাঁধ অবশ্যই নির্মাণ করবেন। উল্লেখ্য গত কয়েকদিনের লঘু চাপ, অতি বর্ষণ ও প্রবল জোয়ারের কারণে ভাঙন কবলিত এলাকার মূল বাঁধ ও রিং বাঁধ ভেঙে প্রতাপনগর, শ্রীউলা ইউনিয়নের সকল গ্রাম ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। বানভাসি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও ইউনিয়নকে রক্ষা করতে হলে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকানো এবং পরবর্তীতে টেকসই বেড়ি বাঁধের বিকল্প নাই। আমি উচ্চ পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে কথা বলেছি যাতে অতি দ্রæত রিং বাঁধ ও পরবর্তীতে টেকসই বাঁধ দিয়ে বানভাসি এলাকাকে রক্ষা করা যায়। উপজেলা চেয়ারম্যান উপক‚লবর্তী জনগণ ও জনপদকে রক্ষার লক্ষে টেঁকসই বেড়ি বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এদিন তিনি প্রতাপনগরে বানভাসি ১ হাজার ৫শ’ মানুষকে ১০ কেজি হারে চাউল বিতরণের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ বাচ্চু, ইউপি সদস্য কোহিনুর ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, প্রতাপনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল বারেক গাজী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। প্রসঙ্গত, আম্পানে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে প্রতাপনগরের ২৫, শ্রীউলার ২২ ও আশাশুনি সদরের ৩ গ্রাম প্লাবিত হয়। সর্বশেষ গত শুক্রবার শ্রীউলার বন্যার পানি বিভিন্ন রাস্তা ছাপিয়ে আশাশুনি সদরের আরও ১৪ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে প্রতাপনগর ও শ্রীউলার মত নতুন করে আশাশুনি সদরের প্লাবিতরাও মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছ। 8,006,535 total views, 1,435 views today |
|
|
|