ডেস্ক রিপোর্ট : আশাশুনিতে এক গ্রাম ডাক্তার কর্তৃক গ্যারান্টি দিয়ে চিকিৎসার নামে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে অসহায় মানুষদেরকে ঠকানোর প্রতিকার প্রার্থনা করেছেন ভুক্তভোগি রোগি ও পরিবারের সদস্যরা। এব্যাপারে আশাশুনি থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
আশাশুনি সদরের কোদন্ডা গ্রামের ছবেদ আলি ফকিরের পুত্র আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ, এলাকার রোগি ও সচেতন ব্যক্তিবর্গ জানান, হাড়ীভাঙ্গা গ্রামের সদয় মন্ডলের পুত্র গ্রাম ডাক্তার মৃনাল মন্ডল বিভিন্ন এলাকায় দালাল ও সহযোগি ব্যক্তি নির্বাচন করে রেখেছেন। যারা ডাক্তারের ভুয়সী প্রসংশা ও রোগ চিকিৎসায় অব্যর্থতার গল্প আউড়ে রোগি যোগাড় করে থাকেন। এসব দালাল ও সহযোগিরা চিকিৎসকের আয়ের একটি অংশ পেয়ে থাকেন। গ্রাম ডাক্তার মৃনালের নিজস্ব কোন চেম্বার নেই, তিনি দালালদের ঠিক করে রাখা রোগিদেরকে দেখতে যান রোগিদের বাড়িতে। এক সপ্তাহ, ১০ দিন, ১৫ দিনের মধ্যে রোগ সম্পূর্ণ নিরাময় হবে এমন গ্যারান্টি দিয়ে তিনি বড় অংকের টাকা চুক্তিবদ্ধ হন।
রোগিরা তার গ্যাসবাক্যে ফুলেফেপে ওঠেন এবং রোগ থেকে মুক্তিপাবে, রোগ যন্ত্রণা কেটে যাবে এমন প্রত্যাশায় বড় অংকের টাকা দিতে স্বীকার করেন। এলাকার সাধারণ চিকিৎকরা (গ্রাম ডাক্তার) যেখানে ২০/৫০ টাকা ভিজিটে রোগ চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তাদের হাতে শত শত রোগিও রোগ নিরাময় হচ্ছে। সেখানে তার ও দালালদের কথায় ভুলে দেখা যায় সাধারণ রোগি ভাল হলেও অনেক রোগি সর্বস্ব খুইয়ে টাকা দিয়েও প্রতারিত হচ্ছেন। এমনই প্রতারিত রোগি কোদন্ডা গ্রামের ছবেদ আলি ফকিরের পুত্র আঃ হান্নান ও মোক্তার আলির পুত্র আঃ আলীম। তারা প্যারালাইসিস এর রোগি।
তাদেরকে ১০ দিনের মধ্যে রোগ নিরাময় করার গ্যারান্টি দিয়ে একজনের কাছ থেকে ৩৮ হাজার টাকা এবং অন্যজনের থেকে ২০ হাজার টাকা নিলেও রোগ নিরাময় হয়নি বলে তারা জানান। এছাড়া আদালতপুর গ্রামের আজগারের স্ত্রী হামিদা, মোস্তফা মোল্যার পুত্র মোক্তাজুলসহ অনেকে তার ফাঁদে পড়ে হাজার হাজার টাকা খুইয়েছেন বলে দাবী করেন। তারা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে অভিযুক্ত গ্রাম ডাক্তার মৃনাল মন্ডল জানান, তিনি ভারতে যাদবপুরে ২০১০ সালে চিকিৎসা ক্ষেত্রে হাতেনাতে প্রক্ষিণ পেয়েছেন। এরপর বাংলাদেশে এসে এলএমএএফপি ও আরএমপি সনদ অর্জন করেছেন। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিঃ মেডিকেল অফিসার ডাঃ ওমর ফারুকের আন্ডারে প্রাকটিস করেছেন। তার চিকিৎসার সফলতা দেখে বিভিন্ন উপজেলায় রোগিদের ডাক পেয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। রোগ সারার মালিক সৃষ্টিকর্তা, তিনি কেবল চিকিৎসা শাস্ত্রের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে পুজি করে রোগ চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। সকল রোগি ভাল হবে এমনটি হয়না।