জুলাই ৮, ২০২০
সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয় মেরামতে নয় ছয়: সংস্কারের নামে ১০ লক্ষ টাকা গেল কোথায়
মুন্সিগঞ্জ (শ্যামনগর) প্রতিনিধি : শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মেরামত কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে সংসদ সদস্যদের বাজেট থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঠিকাদারের মাধ্যমে বিদ্যালয় মেরামতের জন্য প্রদান করা হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ঠিকাদার মিলে ১০ লক্ষ টাকা মেরামতের কাজ ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকার মধ্যে কোনো রকম মেজে ঘষে শেষ করা হয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়, স্কুলের শ্রেণি কক্ষগুলোর সামান্য কিছু প্লাস্টার ছাড়িয়ে নতুন প্লাস্টার করা হয়েছে। জানালার পুরাতন মরিচা পড়া গ্রিল নতুন করে রং করা হচ্ছে। এছাড়া পুরাতন ভবন গুলো কিছুটা রং করা হয়েছে। স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের সাইকেল রাখার জন্য একটা ঘর তৈরি করা হচ্ছে। মেরামত কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ভূমি দাতা সদস্য দাউদ গাজী বলেন, ‘আমাকে নামে মাত্র কাজ দেখাশোনার দায়িত্বে রেখেছে। বাকি সবকিছু দেখাশোনা করছে প্রধান শিক্ষক। যেভাবে কাজ মান সম্পন্ন করা দরকার ছিল সেভাবে কাজ হচ্ছে না। টাকা আছে তবুও মানসম্পন্ন কাজ হচ্ছে না’। স্থানীয়রা জানায়, ‘১০ লক্ষ টাকার কাজ দেওয়া হয়েছে কিন্তু এক থেকে দেড় লক্ষ টাকায় কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি টাকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন, সভাপতি রবিউল ইসলাম ও ঠিকাদার টাকাগুলো কাজ না করে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করছে’। মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, ‘একই বাজেট হরিনগর বনশ্রী শিক্ষা নিকেতনে কাজের ইন্সট্রুমেন্ট দেখেছি। কিন্তু আমি একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে কাজের ইন্সট্রুমেন্ট জানতে এবং দেখতে চাইলে তিনি আমাকে তা না দেখিয়ে বলেন, কাজের ইন্সট্রুমেন্ট ছাড়া বাজেট এসেছে। আস্তে আস্তে কাজ হচ্ছে দেখতে পাবেন। আমার দেখা মতে দুই থেকে তিন লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে’। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘কাজের বিষয়টি ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ার ভালো রকম বলতে পারবে। আমাকে কাজ দেখে নিতে বলেছে তাই কাজ দেখে নিচ্ছি। এখনও কাজ শেষ হয়নি। কাজ শেষ হলে বোঝা যাবে ভালো কি খারাপ হচ্ছে’। বিদ্যালয়ের সভাপতি রবিউল ইসলাম (রবি) বলেন, ‘কাজটি সঠিক হচ্ছে’। কাজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ঠিকাদার করোনার করনে খুলনায় থাকায় কমিটির মাধ্যম দিয়ে মেরামতের কাজটি করতে বলেছেন তাই কাজ করানো হচ্ছে। আমার জানা মতে কাজ ভালো হচ্ছে’। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা ৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দার বলেন, ‘যদি কাজ নিয়ে দুর্নীতি হয় তাহলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে’। 7,442,991 total views, 409 views today |
|
|
|