Site icon suprovatsatkhira.com

শ্যামনগরে ৮০ টন সরকারি চাল পাচার গুজব

ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নকিপুর খাদ্য গুদাম থেকে গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বুলবুলের সহযোগিতায় ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) ছাড়াই ৮০ টন ভিজিএফের চাল পাচার হওয়ার গুজব ছড়িয়েছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর আলোচনা গোটা উপজেলাজুড়ে। গুজব ছড়িয়েছে, বুধবার উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে ডিও ছাড়াই ৮০ টন ভিজিএফের চাল দেওয়া হয়। বলা হচ্ছে, গোডাউন কর্মকর্তা আমিনুর রহমানের সহযোগিতায় সেটি পাচার করা হয়েছে। তবে প্রশাসন বলছে, এটি গুজব ছাড়া কিছু নয়।

চাল উত্তোলনের বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল জানান, ৯ বছর ধরে চেয়ারম্যান পদে রয়েছি। কখনো এমন হেনস্থা হইনি। বুধবার সকাল ৯টার দিকে গুদামে গিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে আমি ঈদের সময় দুস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ভিজিএফের চাল উত্তোলন করি। গাড়িতে লোড হওয়ার শুরুর পর চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি হিসেবে মেম্বরকে রেখে চলে এসেছিলাম। বিকেলে সাংবাদিক পরিচয়ে আমার কাছে ফোন দিয়ে বলছে, আমি ডিও ছাড়াই গম উত্তোলন করে পাচার করছি। গোটা উপজেলায় এটা নিয়ে আলোচনা চলছে। নিছক গুজব ছাড়া কিছু নয়।

এ বিষয়ে নকিপুর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বুলবুল বলেন, ডিও ছাড়া সরকারি চাল আমি কিভাবে দিবো? সেটি দেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। নিয়ম অনুযায়ী ডিও লেটারের মাধ্যমেই মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের বরাদ্ধকৃত ৮০ টন চাল দেওয়া হয়েছে। এটিকে ভিন্নখাতে নিয়ে এক শ্রেণির মানুষ গুজব ছড়িয়েছে। যারা অনৈতিক সুবিধা দাবি করে সব সময়।

এ ঘটনায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজর গিফারী বলেন, আমি ডিও দিয়েছি। এরপর গুদাম থেকে স্বাক্ষর করে চেয়ারম্যান চাল উত্তোলন করেছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে ইউনিয়ন পরিষদে চাল বিলি বিতরণ করা হচ্ছে। এটি নিয়ে চাল পাচার হয়েছে এমন সংবাদ কিভাবে আসলো আমি জানি না। তবে সেটি গুজব ছাড়া কিছু নয়।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version