নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শহরের সার্কিট হাউজ টু বকচরা বাইপাস সড়কের চার রাস্তার মোড়ে অবস্থিত পানি অপসারণের পাইপ ভেঙে কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি সড়ক ব্যবহার করা পথচারী ও যান চলাচলে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। স্থানীয়রা জানায়, শহরের সার্কিট হাউজ থেকে বকচরা বাইপাস সড়কের চার রাস্তার মোড়ে রাস্তার নীচ দিয়ে পানি অপসারণের জন্য কালভার্ট না থাকায় ঢালাই পাইপ ব্যবহার করে সদরের কাশেমপুর, রসূলপুর মেহেদিবাগসহ ওই এলাকার কয়েকটি গ্রামের পানি অপসারণ করা হয়। এছাড়া শহরের সার্কিট হাউজ মোড় থেকে বাইপাস সড়ক ও বকচরা, পরানদাহসহ আগড়দাড়ি এলাকার মানুষের যাতায়াতের পথে সড়কে ভাঙনের ফলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পথচারী শফিকুল ইসলাম জানান, ‘দোকানের জন্য মালামাল কিনে সাতক্ষীরা থেকে পরানদাহ বাজার পর্যন্ত যাওয়া লাগে। সার্কিট হাউজ মোড় থেকে এই পথে দুরত্ব কম হওয়ায় খরচ সাশ্রয় হয়। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ এই রাস্তায় বড় একটা ভাঙনের ফলে প্রায় ৫ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হচ্ছে’। মেহেদিবাগ এলাকার মোক্তার হোসেন জানান, ‘আমাদের এই এলাকার পানি বাইপাস মুখের ওই পাই দিয়ে নিষ্কাশন হয়। পাইপটি ভেঙে যাওয়ায় বর্তমানে এই বর্ষাকালে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ভারী বর্ষণ হলে এই এলাকা প্লাবিত হতে পারে। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে ওই ভাঙনের স্থানে একটি কালভার্ট হলে সকলের সমস্যা সমাধান হবে’।
বকচরা এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম জানান, ‘ওই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন এলাকার যানবাহন ও জনসাধারণ চলাচল করে থাকে। বাইপাস সড়ক হবার পর ওই চার রাস্তার মোড়ে একটি কালভার্টের অভাবে ও কতিপয় ঘের মালিকদের বেড়ি-বাঁধের কারণে এলাকার পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কালভার্ট নির্মাণের দায়িত্ব থাকলেও ওই রাস্তায় আজও একটি কালভার্ট নির্মাণে কেউ এগিয়ে আসেনি। ইতিপূর্বে এলাকার পানি নিষ্কাশনের জন্য আগরদাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মজনুর রহমানের সহায়তায় ওই রাস্তায় দুটি পাইপ কালভার্ট স্থাপন করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন রাস্তার পাইপ কালভার্টটি ভেঙে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে এলাকার বিল, খানাখন্দ, পুকুর, বসত ঘরবাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না’।
এমতাবস্থায় রাস্তা দিয়ে জনসাধারণের নির্বিঘেœ যাতায়াত ও জলাবদ্ধতা দুরিকরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জরুরী ভিত্তিতে কালভার্ট নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।