Site icon suprovatsatkhira.com

পাটকেলঘাটায় প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩

ডেস্ক রিপোর্ট : পাটকেলঘাটায় জায়গা-জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছে। সোমবার (২০ জুলাই) সকালে পাটকেলঘাটার কুমিরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রতিপক্ষের হামলার স্বীকার কুমিরা এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে মো. হাবিবুর রহমান জানান, আমার প্রতিবেশী আব্দুস সালামের পুত্র মো. মফিদুল ইসলাম কাজল গংদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জায়গা জমি কেন্দ্রিক গোলযোগ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার সকালে হঠাৎ মফিদুল ইসলাম, তার পিতা আব্দুস সালাম, স্ত্রী কাজল বেগম, একই এলাকার কেরামত আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম সহ অপরিচিত ২/৩ জন ব্যক্তি লাঠি-সোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে আমাকে এবং আমার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এতে আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে এলোপাতাড়িভাবে মারতে থাকে।

এ সময় আমার স্ত্রী ফাতেমা খাতুন ও আমার শিশু কন্যা হালিমা খাতুন ঠেকাতে আসলে তারা আমার স্ত্রী-কন্যাকেও বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে শরিফুল ইসলাম আমার স্ত্রীর কাপড় চোপড় টানা হ্যাচড়া করে শ্লীলতাহানী ঘটায়। আমার স্ত্রী এর প্রতিবাদ করলে মফিদুল ইসলাম দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার স্ত্রী মাথায় সজোরে আঘাত করে। এতে আমার স্ত্রীর মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় মফিদুলের স্ত্রী আমার স্ত্রীর গলায় থাকার আট আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। আমার কন্যা আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করতে গেলে আব্দুস সালাম আমার কন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। এতে আমার কন্যার হাতে হাড় ভাঙা জখম হয়। আমাদের আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসলে উল্লেখিত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়।

এ সময় স্থানীয়রা আমাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান আরও জানান, এ ব্যাপারে পাটকেলঘাটা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

তবে অভিযুক্ত মফিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে বাড়িতে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মুর্শেদ জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি। উভয়পক্ষের সম্মতিতে মীমাংসার প্রস্তুতি চলছে’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version