Site icon suprovatsatkhira.com

চিংড়ীতে পুশ নিয়ে সুপ্রভাত সাতক্ষীরা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ : পারুলিয়ায় মৎস্য আড়তে অভিযান পুশ সরঞ্জামসহ চিংড়ি উদ্ধার ব্যবসায়ীকে জরিমানা

নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনার মধ্যেও থেমে নেই পারুলিয়ায় চিংড়িতে পুশ শিরোনামে ৭ জুলাই মঙ্গলবার “দৈনিক সুপ্রভাত সাতক্ষীরা” পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর মাঠে নামে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে দেবহাটা উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র পারুলিয়া মৎস্য ডিপোতে অভিযান পরিচালনা করে পুশ সরঞ্জাম ও পুশকৃত চিংড়ি মাছ উদ্ধার করা হয়। পরে জনসম্মুখে উক্ত পুশকৃত মাছ বিনষ্ট করার পাশাপাশি এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য যে, দেশের রপ্তানিকৃত চিংড়ির অধিকাংশ উৎপাদিত হয় দক্ষিণ অঞ্চলে। কিন্তু চলমান করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন চিংড়ি চাষি ও ব্যবসায়ীরা। তবে সংকট পূর্ণ পরিবেশে থেমে নেই পারুলিয়া মৎস্য ডিপোতে বাগদা চিংড়ি পুশ। বহির্বিশ্বে সাদা সোনা নামে পরিচিত এই চিংড়িতে অপ দ্রব্য পুশে মারাত্মক ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে এই শিল্প। কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় সাদা সোনা নামে পরিচিত বাগদা চিংড়িতে পুশ করছে অপ দ্রব্য জেলি, সাবু, চিঁড়ার কদ ও ফিটকার পানি। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর। একদিকে অস্বাস্থ্যকর বাজারজাত অপর দিকে বিশ্ব বাজারে মূল্য হ্রাস। যে কারণে দক্ষিণ বঙ্গের চিংড়ির সাথে জড়িতরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এদিকে অনুসন্ধানে দেখা গেছে, স্থানীয় চাষিরা মৎস্য শেডে বিক্রি করার পর মাছগুলো কিনে নেন ডিপোর ব্যবসায়ীরা। এরপর দীর্ঘ সময় পানিতে ভিজিয়ে রেখে তারপর সেগুলো পুশের জন্য গোপন কক্ষে নিয়ে যেয়ে অপ দ্রব্য মেশানো হয়। এমন গোপন সাংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (০৬ জুলাই) সকালে কয়েকটি চিংড়ি প্রসেসিং কক্ষে দেখা মেলে পুশিং কার্যক্রম। কথা বলতে গেলে এসব ব্যবসায়ীরা নানা ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টার পাশাপাশি প্রভাব দেখানোর চেষ্টা চালায়। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বললে তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান। পরদিন মঙ্গলবার পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর মাঠে নামে প্রশাসন। এরপর বিভিন্ন মৎস্য ডিপোতে চলে অভিযান। বেরিয়ে আসতে থাকে পুশের তথ্য। তবে অভিযান পরিচালনা কালে প্রশাসনকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাধার মুখে পড়তে হয় বলেও জানা গেছে।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা কালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুশ করার অপরাধে রিচি ফিস থেকে পুশকৃত প্রায় দুই শত কেজি বাগদা চিংড়ি জনসম্মুখে বিনষ্ট করেন এবং পরিচালককে ৩০হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিন বলেন, এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। যদি কেউ খাদ্যে ভেজাল কিংবা এ ধরনের অপরাধে সম্পৃক্ত হয় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version