Site icon suprovatsatkhira.com

খাজরায় আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা

নুরুল ইসলাম, খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি : আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে চলতি মৌসুমের আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক-কৃষাণীরা। আর কিছু দিন পরে মাঠে মাঠে শুরু হবে আমন ধান লাগানোর কাজ। তাই একটু আগে ভাগেই মাঠ জুড়ে চলছে আমন ধানের বীজতলার জমি তৈরি ও বীজ রোপণের কাজ। খাজরা ইউনিয়নের অধিকাংশ জমিতে লবণ পানির মাছ চাষ এলাকা হওয়ায় এখানে বোরো ধানের চাষ তেমন একটা হয় না। আমন ধানই এই অঞ্চলের কৃষকের একমাত্র ভরসা। তবে আমন ধানের চাষটা নির্ভর করে সম্পূর্ণ প্রকৃতির উপর।

আশাশুনি কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে খালিয়া, ফটিকখালী, গজুয়াকাটি, রাউতাড়া, পিরোজপুর, তুয়ারডাঙ্গা, সুরেরাবাদ, ঘুঘুমারিসহ আশপাশের এলাকায় প্রায় ১হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ৯৫ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে লক্ষ মাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বীজতলা তৈরি হতে পরে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ।

শনিবার (১১ জুলাই) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, ইউনিয়নের বিল জুড়ে চলছে বীজতলার জমি তৈরি ও বীজ রোপণের কাজ। বর্তমানে এখানকার অধিকাংশ কৃষকরাই দেশীয় জাতের বদলে উচ্চ ফলনশীল (বিনা ধান-২৮, ১০, ২৩, ৪৯) জাতের ধানের বীজ রোপণ করছেন।

আমন চাষি, নজরুল, জোনাব গাজী বলেন, মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় অনেক কৃষকই আনন্দের সঙ্গে আমন ধানের বীজতলা তৈরি করেছে। তবে টানা বৃষ্টিতে নিচু জমির চারা গাছ ডুবে যাওয়ার শঙ্কাও আছে। যদিও নিয়মিত পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে বীজতলা রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে ইউনিয়নের স্থানীয় অধিকাংশ কৃষক জানান,বীজ ধানের দাম অনেক বেশি। এমনকি স্থানীয় ডিলারদের কাছে সময় মত মিলছে না বীজ ধান। ফলে বাড়তি টাকা খরচ করে অন্য এলাকা হতে বীজ ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা কৃষি অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, প্রান্তিক পর্যায়ে বীজতলা তৈরির কাজ শুরু করেছেন কৃষকরা। আমরা সার্বিকভাবে কৃষকদের কৃষি বিষয়ে তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version