Site icon suprovatsatkhira.com

খলিষখালীতে কাচা বাজারে আগুন: হাফিয়ে উঠছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা

খায়রুল আলম সবুজ, খলিষখালী (পাটকেলঘাটা) প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটার খলিষখালীতে কাচা বাজারে আলু, পটল, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ থেকে শুরু করে সকল প্রকার সবজির লাগামহীন দামে হাঁপিয়ে উঠছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। খলিষখালী ইউনিয়নের দলুয়া বাজার, কাশীয়াডাংগা, চোমরখালী, বাগমারা সবজির বাজারগুলোতে সকল প্রকার শাক-সবজিতে চড়া দাম লক্ষ করা গেছে। কাচা বাজারের চড়া দামের ফলে বিপাকে পড়ছে খেটে খাওয়া হতদরিদ্র, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের সাধারণ জনগণ।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে পাশাপাশি দোকানের সবজির দামেও হেরফের দেখা গেছে। এছাড়া বাজার-ভেদেও রয়েছে দামের ভিন্নতা। শনিবার (৪ জুলাই) স্থানীয় বাজারগুলোতে আলু প্রতি কেজি ২৫-৩০ টাকা, ঝিঙে ৩৫-৪০ টাকা, বেগুন ৬০-৬৫ টাকা, পটল ৩৫-৪০ টাকা, কচুর মুখী ৫৫-৬০ টাকা, কাচা ঝাল ১৪০-১৫০ টাকা, পুঁইশাক ১৫-২০ টাকা, করলা ৯৫-১০০ টাকা, কাচা কলা ৫৫-৬০ টাকা, ও ঢ্যাঁড়শ ৪০-৪৫ টাকা মূল্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ক্রেতারা বলছেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে ঠিকমত উপার্জন করতে না পারলেও ফ্রিতে তো কেউ খেতে দেবে না। এজন্য বাজার থেকে সবজি কেনা লাগে। কিন্তু বাজারে সবজির যে দাম, তাতে না খেয়ে থাকা ছাড়া কোন উপায় দেখছি না।

এদিকে সবজির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতারা জানান, ‘গেল ঘূর্ণিঝড় আম্পান থেকে শুরু করে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সবজি চাষি ও ব্যবসায়ীদের। আবার করোনা ভাইরাস তো আছেই। যে কারণে শাক সবজির দাম বাড়ছে। বেশি দাম দিয়ে ক্রয় করলে বেশি দামেই বিক্রি না করলে আমরা বাঁচব কীভাবে’।

খালিষখালী বাজারে সবজি কিনতে আসা রাঘবকাটী গ্রামের মিন্টু জানান, বাজারে এসে সবচেয়ে বেশি কেনা হয় সবজি। কিন্তু তাতেই এখন হাত দেওয়া যাচ্ছে না। যেন সবজিতে আগুন লেগেছে। সবজির বাজারে মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে এদিকে কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া দরকার’।

দলুয়া বাজারে সবজি কিনতে আসা শাহিদুল গাজী জানান, ‘আমরা মধ্যবিত্ত, নিয়মিত কাচা বাজার করতে হয়। কিন্তু কাচা বাজারের যে দাম তা কিনতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। একেতো করোনা ভাইরাসের জন্য কাজ বন্ধ, কোন ইনকাম নাই তার উপর কাচা বাজারে যেন প্রতিদিনই সবজির দাম বাড়ছে। এমনভাবে চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে’।

খলিষখালী বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জাকির গাজী জানান, গেল ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও টানা বৃষ্টির জন্য ফসল উৎপাদন করতে পারেনি কৃষকরা। করোনা ভাইরাসের কারণেও বাইরে থেকে কাচা মাল কম আসছে। যার জন্য পাইকারি বাজারেও এখন দাম বেশি’।

এমতাবস্থায় খলিষখালী ইউনিয়নের সকল কাচা বাজারে শাক-সবজির মূল্য ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখে দ্রব্যমূল্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের আহŸান করেছেন ইউনিয়নবাসী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version