Site icon suprovatsatkhira.com

কীটনাশক ও কারেন্ট জালের অবাধ ব্যবহারে খাজরায় বিলুপ্তির পথে দেশীয় প্রজাতির মাছ

নুরুল ইসলাম, খাজরা (আশাশুনি) প্রতিনিধি : আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নের নদী, খাল, বিল ও ডোবা-জলাশয় থেকে দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্ত হওয়ার পথে। প্রায় ২০ থেকে ৩০ প্রজাতির মাছ এখন কোথাও পাওয়া যায় না। কৃষি জমিতে অনিয়ন্ত্রিত কীটনাশক ও অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবহার, খাল-বিল-ডোবা ভরাট, উন্মুক্ত জলাশয়ে বাঁধ নির্মাণসহ মাছের বিচরণ ক্ষেত্রের প্রতিক‚ল পরিবর্তনের কারণে এটি হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানায়।

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, খাজরা ইউনিয়নে চেউটিয়া নদী, পবনার খাল, কাটাখালী খাল, রাউতাড়া, পিরোজপুর, গজুয়াকাটি, ঘুঘুমারি বিলসহ বেশ কিছু জলাশয় মাছের প্রধান উৎস। এসব জলাশয়ের মাছ এলাকার আমিষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় সরবরাহ করা হত। এক সময় জলাভূমিতে দেশীয় মাছের প্রাচুর্য ছিল। কিন্তু এখন বেশ কিছু প্রজাতির মাছ তেমন দেখা যায় না। দেশীয় প্রজাতির অনেক মাছ বিলুপ্তির কারণে স্থানীয় জেলেদের দুর্দিন যাচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, বর্ষা মৌসুমে মা মাছগুলো ডিম ছাড়ে। ওই সময় এক শ্রেণির মৎস্য শিকারি শখ ও লোভের বশত এগুলো ধরে ফেলে। এতে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন হয় না। এলাকার খালে ও বিলে অবৈধ কারেন্ট জাল ব্যবহার করে ছোট বড় নানা জাতের মাছ শিকারে ব্যস্ত। এছাড়াও কৃষি জমিতে বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধ্বংস করে ফেলছে। ফলে দেশি প্রজাতির মাছ দিন দিন কমে একেবারে বিলুপ্তির পথে। বিলুপ্তির পথে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মধ্যে রয়েছে মাগুর, কই, শৈল, টেংরা, পুঁটি, টাকি, বাইন ইত্যাদি। খাল-বিল, ডোবা-জলাশয় গুলোর শ্রেণি পরিবর্তন করে ইজারা না দেওয়া এবং নদী, খাল-বিল, জলাশয়ে অভয়াশ্রম সৃষ্টি করে প্রজননের সুযোগ তৈরি করা প্রয়োজন বলে স্থানীয়রা জানান। গণ-সচেতনতা ও মা মাছ রক্ষায় অতি দ্রæত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা কামনা করেছেন সচেতন এলাকাবাসী।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version