Site icon suprovatsatkhira.com

কাশিয়াডাঙ্গা বিলের কাঁচা রাস্তাটির বেহাল দশা: পাকা করনের দাবি

খায়রুল আলম সবুজ, খলিষখালী (পাটকেলঘাটা) প্রতিনিধি : পাটকেলঘাটার খলিষখালী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুল থেকে গোয়াল পোতা বাজার সংলগ্ন বিলের কাঁচা রাস্তাটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। রাস্তাটি বর্তমানে একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অথচ দীর্ঘদিন যাবৎ এমন অবস্থায় থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ রাস্তাটি পাকা করনের কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পথচারী ও স্থানীয়দের।

স্থানীয়রা জানায়, ‘মজুমদার আবাদ বিলে হাজার হাজার বিঘা বাগদা চিংড়ির মৎস্য ঘেরে যাওয়ার এই একটাই মাত্র রাস্তা। এই বিলের মৎস্য ঘের থেকে কয়েক কোটি টাকার বাগদা চিংড়ি কেনা-বেচা হয়। রাস্তাটি পাকা না করায় বর্ষা মৌসুমে রাস্তায় কাদা হওয়ায় ঘের ব্যবসায়ীদের চাষকৃত চিংড়ি বাজারে নিতে ভোগান্তির শেষ থাকে না। বছরের অন্যান্য সময়ে ওই রাস্তায় ইজিবাইক, নছিমন, করিমন, মোটরসাইকেল সহ অন্যান্য যানবহন চললেও বর্ষাকালে তার কোন উপায় থাকে না’।

খলিষখালী ইউনিয়ন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ষার মৌসুমে এ রাস্তাই এত কাঁদা হয় মনে হয় লাঙ্গল দিয়ে চাষ করা হয়েছে। এছাড়া রাস্তার ধার দিয়ে যে খাল গেছে সে খালের ভিতর অধিকাংশ রাস্তা ভেঙে পড়েছে। যার কারণে পথচারীদের পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তিতে। বেশি সমস্যা হচ্ছে ঘের মালিকদের। এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন এমন অবস্থায় থাকলেও পাকা না হওয়ার রাস্তাটি হয়ে উঠেছে মরণ ফাঁদ। রাস্তাটি পাকা করার খুবই দরকার’।

কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী রিপন মোল্লা জানান, ‘আমার মজুমদার আবাদ বিলে একটি ৯ বিঘা ঘের আছে। বর্ষার মৌসুম এলেই আমার চিন্তায় পড়তে হয়। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২ কি:মি: পথ হেঁটে হাঁটু পরিমাণ কাদা ঠেলে ঘেরে যেতে হয়। বর্ষার মৌসুম এলেই মাছ বাজারে বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যেতে হয় কাঁধে করে। প্রতি বছর এ বিলের মৎস্য ঘের থেকে কোটি কোটি টাকা বেচা-কেনা হয়। সরকার রাজস্ব পায়। অথচ এ রাস্তাটি পাকা করার কোন উদ্যোগ নেই’।

এ বিষয়ে খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফফর রহমান বলেন, রাস্তাগুলো খারাপ আমি জানি। আশা করি যে রাস্তাগুলি কাঁচা ও খারাপ আছে আগামী সময়ের মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। এছাড়া দক্ষিণ এলাকার অনেক রাস্তা আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর ইটের রাস্তা পাকা করেছি। বর্তমানে যে রাস্তাগুলো কাঁচা আছে আমার নিজের উদ্যোগে ভাটা থেকে ইট এনে সংস্কারও করছি। আশা করি যে রাস্তাগুলি কাঁচা ও খারাপ আছে আগামীতে রাস্তাগুলো সংস্কার করা হবে ও পাকা রাস্তা হয়ে যাবে। আর বর্ষার মৌসুম চলে গেলে অনেক রাস্তা মেরামত হবে বলে তিনি জানান।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version