স্টাফ রিপোর্টার : কলারোয়ায় কলেজ ছাত্র হত্যা মামলার প্রধান আসামীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতংকে দিন কাটছে নিহত তুষারের বাবা মার। ইতি মধ্যে ঘটনার প্রায় আড়াই মাস পেরিয়ে গেছে। মূল আসামীরা অধরা থাকায় আসামীরা দুর থেকে হুমকি দিচ্ছে বাদি ও তার পরিবারকে। এ দিকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামী ইতিমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়ে মামলাটি ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা তদ্বির অব্যহত রেখেছে। জেলা হাজতে আটক আসামী আব্দুল জলিলও দুর্দান্ত প্রকৃতির। আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের আগেই জলিল জামিনে মুক্তি পেলে মামলার স্বভাবিক প্রকৃক্রিয়া বাধাগ্রস্থকরাসহ বাদী ও স্বাক্ষীদের উপর রাজনৈকিত প্রভাব বিস্তর করবে বলে নিহত তুষারের বাবা মার আশংঙ্খা।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ কলারোয়া উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলামের মেয়ে সায়মা জামান ময়না (১৬) সাথে একই গ্রামের বজলু রহমান শেখের ছেলে তুষার হোসেন জনির প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ময়না পার্শ্ববর্তী ছলিমপুর ছালেহা হক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী ও তুষার ঢাকা পলিটেকনিক কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র। গত ২৩ এপ্রিল গভীর রাতে ময়নার বাবা কামরুল ইসলাম মেয়েকে দিয়ে তুষারকে ডেকে নিয়ে যায়। কথা বলার এক পর্যায়ে কামরুলসহ আসামীরা তুষারকে লাঠি ও রড দিয়ে মারপিট করে। পরে খবর পেয়ে মামলার বাদি তুষারের বাবা রাস্তা থেকে অচেতন ছেলেকে নিয়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তুষারের মুত্যৃ হয়।
ঘটনা উল্লেখ করে তুষারের বাবা মো: বজলুর রহমান শেখ বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ঘটনাস্থল থেকে প্রধান আসমীর স্ত্রী সেলিনা খাতুন, তার পিতা রিয়াজউদ্দিন ও একই গ্রামের ইউপি সদস্য আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ। সম্প্রতি সেলিনা খাতুন ও রিয়াজ উদ্দিন জামিনে মুক্তি পেয়েছে। আব্দুল জলিল এখনো জেল হাজতে। সেও জমিনে জেলা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। এদিকে আসামী কামারুল ও জলিলের ছেলে আসামী সোহাগ হোসেন মামলা তুলে নেয়ার জন্য দুর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি প্রদান করে আসছে।
গতকাল সকালে তুষারের বাবা ও মা সংবাদিকদের জানান, আমি আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তার জন্য মুল আসামীদের অতি দ্রæত গ্রেপ্তার করার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মর্তার প্রতি অনুরোধ জানান।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক কে এম তৌফিক টিপু জানান, আসামীরা বার বার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। তারা একাধিক সীম কার্ড ব্যবহার করছে। অভিযান অব্যহত আছে। আসামীদের গ্রেপ্তার করা হবে। বাদীর নিরপত্তা নিয়ে পুলিশের সার্বক্ষনিক নজরদারি আছে। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী সকল আসামীদের সাজা ভোগ করতে হবে।
কলারোয়ায় কলেজ ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা ঘটনার আড়াই মাস পেরিয়ে গেলেও মূল আসামিরা অধরা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/