Site icon suprovatsatkhira.com

ভালো নেই গ্রামের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার গুলো: অভাব কড়া নাড়ছে দুয়ারে দুয়ারে

জয়নগর (কলারোয়া) প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে অভাবের সংকেত অধিকাংশ পরিবারে, বিশেষ করে গ্রাম্য এলাকায়। রোজগার আগের মত করতে না পারলেও চাহিদার কমতি থাকছে না কোন পরিবারে। সরকারি চাকরি করে এমন ব্যক্তির পরিবার ছাড়া ভালো নেই অন্যরা। এমনটাই বলছেন গ্রামের বাসিন্দারা। গ্রামের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার গুলোর উপার্জন না থাকলেও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের চাহিদা থেকেই যাচ্ছে। এরমধ্যে পাওনাদারের তাগাদা, সারা বছরের বকেয়ার টাকা, সমিতির কিস্তি আর বিদ্যুতের বিল নিয়ে আছেন মহা বিপদে।

ধানদিয়া স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন ঘোষ ও সরসকাটি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমেলিন্দু ঘোষ জানান, ‘মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবার গুলোতে বর্তমান চরম অভাব বিরাজ করছে। প্রয়োজনের তুলনায় রোজগার করা সম্ভব হচ্ছে না। যারা সরকারি চাকরি করছে তারা বেতন পেলেও বেশিরভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কয়েক মাস বেতন বন্ধ আছে। আমরা যারা গ্রামে বসবাস করি আমাদের সন্তানেরা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে আমরাই বুঝতে পারছি যে গ্রামের মানুষ কীভাবে জীবনযাপন করছে’।

সরসকাটি এলাকার নির্মল ঘোষ জানান, ‘আমার ছেলে একটা কোম্পানিতে চাকরি করে। কিন্তু কয়েক মাস হলো বেতন পায় না। ছেলের বেতনে সংসার চলে। ছেলে চাকরি করে বলে কারো কাছে সাহায্য বা ত্রাণ চাইতেও পারি না’।

জয়নগর এলাকার জোহর আলী জানায়, ‘আমি কৃষি কাজ করে সংসার চালায়। করোনা ভাইরাসের কারণে কৃষি কাজের সব কিছুতেই দাম বেড়েছে কীভাবে যে কৃষি কাজ করব তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া উৎপাদিত ফসলে দামও পাচ্ছি না’।

এ বিষয়ে জয়নগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন আল মাছুদ বাবু জানিয়েছেন, ‘মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে দিন দিন অভাব বেড়েই চলেছে। তবে সরকারি যে ত্রাণ সামগ্রী ইউনিয়ন বাসীর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে সেটি খুবই সীমিত। তাদের চাহিদার তুলনায় সীমিত পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী দিয়ে মানুষের অভাব মেটানো সম্ভব নয়’।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version