Site icon suprovatsatkhira.com

পারুলিয়ায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট: করোনা পরিস্থিতে চাহিদা মত দাম না পেয়ে লোকসানে খামার মালিকরা

মীর খায়রুল আলম : খুলনা বিভাগের দক্ষিণ-পশ্চিমঞ্চালের বৃহৎ গবাদি পশু কেনা-বেচার স্থান সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়ার গরুহাট। ঈদের বাকি কয়েক দিন। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। আর এই ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠতে শুরু করেছে পারুরিয়ার পশুর হাট। সপ্তাহের প্রতি রবিবার এখানে হাট বসে। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ও জেলার বাইরে থেকে খামারিরা তাদের পালিত পশু বিক্রয় করতে আসে এই হাটে।
হাটের পরিবেশ ক্রেতা ও বিক্রেতা বান্ধব এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকায় এ হাটের চাহিদা দীর্ঘ দিনের। হাটে গরু, ছাগল, ভেড়া সহ বিভিন্ন ধরনের পশু বিক্রয় হয়। এছাড়া বিভিন্ন জাতের হাঁস, মুরগি, কবুতর পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, এখানে বিক্রি হয় ছোট-বড় সকল বয়সীদের পোশাক, জুতা, কসমেটিকস, ফলজ, বনজ ও ঔষধি বৃক্ষ, মাছ, মাংস, সবজি সহ সাংসারিক সকল জিনিসপত্র। সাপ্তাহিক এ হাটে ক্রয়-বিক্রয় করে কয়েক হাজার মানুষ তাদের সংসার পরিচালনা করে থাকেন।
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দক্ষিণাঞ্চালে শেষ মুহ‚র্তে জমে উঠেছে পশুর হাট। প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশুর ব্যাপক সমাগম ঘটে। কিন্তু বিগত বছর গুলোর তুলনায় এবার বিক্রেতার চেয়ে ক্রেতা কম হওয়ায় লোকসানের মুখে দেশি খামার মালিকরা। হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা থাকলেও দাম ছিল না বড় গরুর। এবার দাম গত বছরের তুলনায় অনেক কম। যথেষ্ট মূল্য না পাওয়াতে লোকসান গুনতে হচ্ছে বিক্রেতাদের।
কয়েকজন খামারি জানান, করোনা পরিস্থিতে এবার উৎপাদিত পশুর দাম খুবই কম। গরু মোটা তাজা করতে তাদের যা ব্যায় হয়েছে খরচ বাদ দিলে লাভ হবে না। আবার অনেকই বলছেন, ঈদ উপলক্ষে যদি গরু না বিক্রি করতে পারি তাহলে আরো বেশি ক্ষতিগস্ত হবেন তারা। একই সাথে গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় লাভ পরিমাণ অনেক অংশে কম।
এদিকে, হাটে ২৫ হাজার থেকে শুরু করে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম চাইছে বিক্রেতারা। তবে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার গরু ও ১৫ হাজার টাকার ছাগল বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা দামের গরু বেশি বিক্রি হয়েছে। ৫৫-৬৫ হাজার টাকার মধ্যেও বেশকিছু গরু বিক্রি হয়েছে। খাসি ছাগলও বিক্রি হচ্ছে তুলনামূলক কম দামে। দাম ৩ হাজার টাকা থেকে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে। তবে ৫/৮ হাজার টাকা দামের ছাগল বেশি বিক্রি হচ্ছে।
তবে পারুলিয়া গরুহাটের ইজারা গ্রহণকারী ও জেলা পরিষদের সদস্য আল ফেরদৌস আলফা জানান, ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরুর সমাগম বেশি। তাছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে কোন প্রকার চুরি, ছিনতাই না ঘটে। করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে মাক্স ছাড়া হাটে প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে।

https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/
Exit mobile version