মীর খায়রুল আলম : পরকীয়ার জের ধরে খুন হওয়া চালকের ইজিবাইকের অংশ দেবহাটার কামটা এলাকার পুকুর ও বাগান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার স্থানীয় কয়েকজন ইজিবাইকের একটি পার্টসের অংশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে গাজিরহাট টু ঈদগা গামী সড়কের পার্শ্ববর্তী পুকুর ও বাগানে অভিযান চালিয়ে ইজিবাইকের টুকরো টুকরো অংশ উদ্ধার হয়।
দেবহাটা থানার ওসি (তদন্ত) উজ্জল কুমার মৈত্র জানান, চালক মনিরুলকে রশি দিয়ে হত্যার পর ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। পরে হত্যার সাথে জড়িত রমজান আলীর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ইজিবাইকের বিভিন্ন অংশ উদ্ধার হয়। এর আগে হত্যা সংশ্লিষ্ট দুই আসামিকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামিরা বিজ্ঞ আদালতে তাদের জবানবন্দি প্রকাশ করেছেন। এ সময় মনিরুলের ইজিবাইকটি উদ্ধার করা যায়নি। কিন্তু শুক্রবার অভিযান চালিয়ে ইজিবাইকের অংশ উদ্ধার হয়েছে।
এদিকে ইজিবাইক চালক মনিরুলকে পরকীয়ার জের ধরে হত্যা করা হয়েছে বলে আসামিদের আদালতে স্বীকারোক্তি জানা গেছে। ঘটনায় মনিরুলের স্ত্রী রাবেয়া ও তার প্রেমিক পোল্ট্রি ব্যবসায়ী রাজুকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। কিন্তু হত্যার ঘটনা দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও মনিরুল এর সাথে থাকা ইজিবাইকের সন্ধান না মেলায় জনমনে প্রশ্ন ছিল। তবে শুক্রবার সাড়ে ১২টার দিকে ইজি বাইকের খন্ড খন্ড অংশ উদ্ধার হওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়। তবে ইজিবাইক টি খন্ড-বিখন্ড করতে এবং খুনের সাথে কারা জড়িত। তাদেরকে আটক করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি নিহতের পরিবারের।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা জানান, ‘ইজিবাইক চালক মনিরুল হত্যার পর আমরা প্রতিটি বিষয় পর্যালোচনা করে অতি স্বল্প সময়ে আসামিদের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হই। তাছাড়া খুনের সাথে সম্পৃক্ত দুই জনকে আটকের পর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে রমজান আলী নামের আরও একজনকে আটক করা হয়। পরে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম (বার) ও দেবহাটা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি ইয়াসিন আলীর নির্দেশনা মোতাবেক অভিযান চালিয়ে ইজিবাইকের কিছু অংশ উদ্ধার হয়েছে’।