স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার (যশোর-সাতক্ষীরা) মহা-সড়কের ঝাউডাঙ্গা বাজারের জরাজীর্ণ প্রধান সড়কে দায় সারা কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পথচারী, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। তারা জানায়, প্রধান সড়কটি মাসের পর মাস উঁচু-নিচু পাহাড়ি রাস্তার মত ছিল। গত ১৬ জুলাই সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্দেশনায় মোজাহার এন্টার প্রাইজের ঠিকাদারের কর্মীরা উঁচু-নিচু স্থান গুলো চিহ্নিত করে সংস্কার করে। সংস্কারের ১০দিনেই পাথর উঠে আবার তা পূর্বের অবস্থায় পরিণত হয়েছে। ফলে ঝাউডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে বাজারের দক্ষিণ মাথা পর্যন্ত প্রধান সড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড়, মাঝারি ও ভারী যানবাহন। প্রতিনিয়ত ঘটছে নতুন নতুন দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা দুর্ঘটনা কবলিত স্থানগুলো লাঠি পুঁতে রেখে চিহ্নিত করে রেখেছেন। এ অবস্থায় দ্রæত রাস্তাটি আবারও সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এর আগেও এসকল স্থান গুলো কয়েক দফায় কাজ করলেও কোনো সুফল আসেনি। তারপরও বাধ্য হয়ে স্থানীয় অটোরাইচ মিল শ্রমিকেরা স্বেচ্ছায় কয়েক দফায় কাজ করে তাও ফলে আসেনি। ১০দিন আগে শুধুমাত্র স্কেবেটার দিয়ে খুঁড়েই যেমন তেমন করে রোলার দিয়ে সমান করে সড়ক ও জনপদ বিভাগ। কাজের মান দেখে স্থানীয় কয়েকজন প্রতিবাদ করায় তাদের ওপর চড়াও হয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের কিছু কতিপয় ব্যক্তি। তারা আরও জানান, রাস্তায় গর্ত, উঁচু-নিচু আর চারিদিকে পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় গতকাল সকালে একটি ইজিবাইক উল্টে একজন মহিলা আহত হয়েছেন। ওইদিন বিকেলেও আরো একটি দুর্ঘটনা আবার রাতে একটি মোটরসাইকেল পড়ে এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। তাছাড়াও রাস্তার দু’পাশে কোনো মাটি কিংবা পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘ঈদুল আযহার পরেই যশোর-সাতক্ষীরা মহা-সড়কের পুনরায় সংস্কারের কাজ শুরু হবে’।
ঝাউডাঙ্গায় যশোর-সাতক্ষীরা সড়ক সংস্কারে দায় সারা
https://www.facebook.com/dailysuprovatsatkhira/